Samsung কে হারিয়ে বিশ্বের সেরা স্মার্টফোন ব্র্যান্ড এখন Apple, Xiaomi, Oppo ও Vivo কত নম্বরে জানুন

২০২১ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বিশ্বে সবথেকে বেশি পরিমাণ স্মার্টফোন সরবরাহের নজির গড়ে আমেরিকা-ভিত্তিক ব্র্যান্ড Apple ফের তাদের জনপ্রিয়তার প্রমাণ হাজির করলো। এক্ষেত্রে আইফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি অপর জনপ্রিয় ব্র্যান্ড Samsung -কে পিছনে ফেলেছে। অ্যাপল অনুরাগীদের জন্য অত্যন্ত খুশির এই সংবাদ প্রকাশ্যে এনেছে Canalys নামক বাজার সমীক্ষাকারী সংস্থা। পরিসংখ্যানের মাধ্যমে তারা দেখিয়ে দিয়েছে যে, গতবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে বিশ্বে মোট যত স্মার্টফোন ক্রেতাদের হাতে উঠেছে, তার প্রায় ২২ শতাংশ ডিভাইস সরবরাহ করেছে Apple। এক্ষেত্রে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক অন্য কোন ব্র্যান্ড অ্যাপলের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেনি।

বাধার মুখে প্রোডাক্ট সরবরাহ, তবু বাজারদখলে অগ্রগামী Apple

সমীক্ষাকারী সংস্থা Canalys জানিয়েছে, ২০২১ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে চীনে রেকর্ড পরিমাণ আইফোন বিক্রি হয়েছে। তাছাড়া একই সময়ে বিশ্ববাজারে নতুন iPhone 13 সিরিজের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা গিয়েছে বলেও সমীক্ষাকারী সংস্থার দাবী। প্রোডাক্ট সরবরাহের ক্ষেত্রে অন্যান্য ব্র্যান্ডকে পিছনে ফেলতে এই ফ্যাক্টরগুলি অ্যাপলের সহায়ক হয়েছে বলেই তাদের অভিমত।

এছাড়া প্রোডাক্ট সরবরাহে অ্যাপলের কৃতিত্বের কথা বলতে গিয়ে ক্যানালিস সমীক্ষকেরা আরো এক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন। দেখা গিয়েছে সাপ্লাই চেইন জনিত দুর্বলতা ও উপকরণের ঘাটতি থাকার ফলে আলোচ্য সময়পর্বে অ্যাপল চাহিদা অনুযায়ী আইফোন উৎপাদন করতে পারেনি। নইলে সেক্ষেত্রে তাদের ফলাফল আরো অনেক উন্নত হতো।

আসলে বিশ্বজুড়ে কোভিড পরিস্থিতির কারণেই আলোচ্য সময়ে অ্যাপলের প্রোডাক্ট সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। কিন্তু এতকিছুর পরেও সংস্থাটি সারা বিশ্বের ২২ শতাংশ বাজার দখল করে স্মার্টফোন সরবরাহকারীদের তালিকায় এক নম্বরে উঠে এসেছে। অ্যাপলের পরে তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে স্যামসাং। তাদের বাজার দখলের পরিমাণ প্রায় ২০ শতাংশ। অন্যদিকে ১২, ৯ এবং ৮ শতাংশ বাজার দখল করে চীনের তিন জনপ্রিয় ব্র্যান্ড Xiaomi, Oppo এবং Vivo যথাক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে।

অবশ্য Canalys সংস্থার জন্য কর্মরত সমীক্ষকেরা এও জানিয়েছেন যে, সার্বিক হিসেবের কথা ধরলে আলোচ্য প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন সরবরাহ আগের তুলনায় মাত্র ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে হতাশাজনক ফলাফলের জন্য বিভিন্ন সংস্থার সরবরাহজনিত দুর্বলতাকে দায়ী করা হচ্ছে যার কারণ হিসেবে বারবার উঠে আসছে কোভিড-১৯ অতিমারির নাম।