আগামী দিনে কলকাতার সমস্ত সরকারি বাস সিএনজি অথবা ব্যাটারিতে চলবে

পরিবেশ দূষণের মাত্রা হ্রাস ও জ্বালানি তেলের উপর নির্ভরতা কমানোর উদ্দেশ্যে চিরাচরিত গণপরিবহণ ব্যবস্থার বিকল্প মাধ্যম চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রশাসনের লক্ষ্য আগামী তিন বছরের মধ্যে শুধু কলকাতার রাস্তায় ১২০০ ইলেকট্রিক বাস নামানো। ইতিমধ্যেই শহরে ৮০টি ই-বাস চলাচল করছে। আবার জুলাইয়ের মধ্যে অতিরিক্ত ৪৫টি বৈদ্যুতিক বাস পথে নামানো হবে।

পরিবেশ দূষণ কমাতে কলকাতার সমস্ত সরকারি বাস নয় ব্যাটারিতে চলবে অথবা হবে সিএনজি চালিত। এমনটাই লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমরা নির্দিষ্ট কয়েকটি রুটে এখন ইলেকট্রিক বাস চালাচ্ছি। বিদ্যুৎচালিত বাস ধোঁয়ার পরিমাণ শূণ্য নামিয়ে নেট জিরো কার্বন এমিশনের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। আবার সরকারি বাসের ডিজেল ইঞ্জিনকে রূপান্তরিত করে সিএনজি-তে চালানোরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে “

এদিকে বিকল্প জ্বালানি চালিত গাড়ি ব্যবহারে উৎসাহ দিতেও উদ্যোগী হয়েছে সরকার। রাজ্য বাজেটে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো দুই চাকা ও চার চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং সিএনজি চালিত যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ফি এবং অন্যান্য ট্যাক্স মকুবের কথা গত শুক্রবার ঘোষণা করেছে মমতা সরকার। এই সুবিধা ২০২৪-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

উল্লেখ্য, গত মাসে নিউটাউনে সার্বাবান বাস সার্ভিসেসের তরফে কলকাতায় তথা রাজ্যের প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সিএনজি বাস পরিষেবা চালু করা হয়েছে। রাজ্য পরিবহণ দফততের সহায়তায় নিউটনের সাপুরজি থেকে উল্টোডাঙার ১৫ নম্বর সরকারি বাস ট্যান্ডের মধ্যে পাঁচটি সিএনজি বাস চালানো হচ্ছে। যাত্রীদের বসার জন্য প্রতিটি বাসে ৩১টি আসন থাকছে।