গাড়ি চালানোর সময় ফোনে কথা বললে আর জরিমানা নয়? মিডিয়া রিপোর্ট ঘিরে জল্পনা

Updated on:

গাড়ি চালাচ্ছেন এমন সময় হঠাৎ ফোনটি বেজে উঠলো। দেখে বুঝলেন যে এটি জরুরী কল। এমন সময় না যাচ্ছে গাড়ি থামানো, না তো পারছেন ফোনটি রিসিভ না করে থাকতে। অগত্যা ফোন কানে দিয়েই চালাতে হচ্ছে গাড়ি। এমনভাবে কিছুদূর যেতেই পুলিশের খপ্পরে পড়তে হল। ব্যস! অমনি বড়সড় জরিমানার খাড়া এসে পড়ল ঘাড়ে। এমন ঘটনা আমাদের অতি পরিচিত। তবে এসবের ঝক্কি আর পোহাতে হবে না সাধারণ মানুষকে। খুব শীঘ্রই ফোনে কথা বলতে বলতেও গাড়ি চালানো আর দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গ্রাহ্য হবে না। সম্প্রতি লোকসভায় কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari) তেমনটাই জানিয়েছেন বলে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে৷

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এই ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্তের কথা উল্লেখ করেছে তিনি। ‘ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালানো তখনই দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গ্রাহ্য হবে না, যখন কেউ হ্যান্ডস-ফ্রী ডিভাইস অর্থাৎ ইয়ারফোন বা হেডফোন ব্যবহার করে কথা বলবেন এবং সেই সময় ফোনটি অবশ্যই পকেটে থাকতে হবে।’

গডকড়ী যোগ করেছেন, তা সত্ত্বেও যদি কোনো ট্রাফিক পুলিশ চালান কাটে, তবে সেটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যেতে পারবেন যে কেউ। তবে ফোনটি যদি কানে থাকে, সে ক্ষেত্রে পুলিশের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে চালান কাটার।

এতো গেল পুলিশের ভয়। কিন্তু নিজের এবং অন্যের নিরাপত্তার কথা ভেবেই গাড়ি চালানোর সময় কানে ফোন দিয়ে কথা বলা উচিত নয়। কারণ, আমাদের ভারতের রাস্তাকে ‘অনিশ্চিত’ হিসেবে গণ্য করা হয়। অর্থাৎ যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। তাই গাড়ি চালানোকালীন মোবাইল ফোন ব্যবহার যথেষ্টই ঝুঁকিপূর্ণ। এইসময় আচমকাই যদি কোনো পথচারী গাড়ির সামনে চলে আসেন সে ক্ষেত্রে যেকোনো সময় অঘটন ঘটে যেতে পারে। আবার ফোনে কথা বলার সময় রাস্তার পাশের কোনো বিশেষ চিহ্ন খেয়াল না করার ফলেও পড়তে হতে পারে অপ্রস্তুতিতে। তাই যতটা সম্ভব এই সময় ফোনকে নিজের থেকে দূরে রাখাই যুক্তিসঙ্গত।

সঙ্গে থাকুন ➥