গান শোনা, সেলফি তোলার সাথে মিলবে নেভিগেশনের সুবিধাও; Google-এর স্মার্ট জ্যাকেটের কথা জানেন?

Updated on:

বর্তমান যুগে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে টেক কোম্পানিগুলি বিভিন্ন ধরনের চমকপ্রদ প্রোডাক্ট তৈরি করছে। আর, লেটেস্ট টেকনোলজির সহায়তায় নির্মিত এই পণ্যগুলির মধ্যে এমন কিছু অত্যাশ্চর্য জিনিসও রয়েছে, যেগুলির সম্পর্কে খুব কম লোকই জানে এবং অনেক মানুষের কাছে এগুলি অকল্পনীয়ও বটে! সেক্ষেত্রে আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের এমনই একটি প্রোডাক্টের কথা জানাতে চলেছি, যার সম্পর্কে অনেক মানুষই স্বপ্নেও ভাবতে পারবেন না! কিন্তু জিনিসটি ঠিক কী? আসুন জেনে নিই…

অত্যাশ্চর্য জ্যাকেট তৈরি করেছে Google

আসলে ব্যাপারটি হল, বিশ্বখ্যাত টেক জায়েন্ট গুগল (Google) জনপ্রিয় ব্র্যান্ড লিভাইস (Levi’s)-এর সাথে হাত মিলিয়ে একটি অভূতপূর্ব জ্যাকেট তৈরি করেছে। সংস্থাটি জ্যাকুয়ার্ড (Jacquard) ব্র্যান্ডিংয়ের অধীনে এই প্রোডাক্টটি বিক্রি করে, যদিও এই মুহূর্তে জ্যাকেটটি কেনার জন্য উপলব্ধ নয়। তবে এই জ্যাকেট আজকের কোনো নতুন প্রোডাক্ট নয়, কোম্পানিটি ২০১৯ সালে এটিকে বাজারে এনেছিল। শুধু তাই নয়, এই জিনিসটি তৈরির পরিকল্পনা কিন্তু ২০১৭ সাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। এমনিতে জ্যাকেট বলতে যা বোঝায়, গুগলের আলোচ্য প্রোডাক্টটি অনেকটা সেরকমই। কিন্তু এটিকে সাধারণ জ্যাকেটের সঙ্গে কোনোমতেই তুলনা করা চলে না; তার মূল কারণ হল, এই জ্যাকেটটিতে একগুচ্ছ অসাধারণ ফিচার উপলব্ধ রয়েছে। তাহলে আসুন, প্রোডাক্টটির নজরকাড়া ফিচারগুলির উপর একনজরে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।

রয়েছে ব্লুটুথ এনাবেলড ট্যাগ

আলোচ্য স্মার্ট জ্যাকেটটিতে কোম্পানি একটি ব্লুটুথ এনাবেলড ‘ট্যাগ’ দিয়েছে, যেটি জ্যাকেটের বাঁ হাতায় আটকানো রয়েছে। আকারে খুবই ছোটো এই ট্যাগটি টাচপ্যাডের মতো কাজ করে, যার সাহায্যে মিউজিক কন্ট্রোল করার পাশাপাশি বিভিন্ন অ্যাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন ইউজাররা। এছাড়া, কোনো নোটিফিকেশন এলে ট্যাগটি ভাইব্রেট করবে।

Google-এর জ্যাকেট কীভাবে কাজ করে? এর দামই বা কত?

এই জ্যাকেটটিকে ব্যবহার করার জন্য ইউজারদের ফোনে ‘জ্যাকুয়ার্ড’ অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল রাখতে হবে। এই অ্যাপটি ইউজারদের প্রতিটি জেশ্চার অনুযায়ী কাজ করতে সক্ষম। অর্থাৎ সোজা কথায় বললে, এই অ্যাপটির সহায়তায় ইউজারদের অঙ্গভঙ্গি বুঝে নিয়ে জ্যাকেটটি তাদের নির্দেশনা মাফিক কাজ করতে পারবে। এছাড়া, ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী জ্যাকেটটিকে প্রোগ্রাম করতে পারবেন, এমনকি নিজেদের প্রতিটি অঙ্গভঙ্গিতে বিভিন্ন ফাংশন ডিকোডও করে রাখতে পারবেন। আর এই সবকিছু পড়ে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত এই জ্যাকেটটিকে কোনোমতেই জলে ধোয়া যাবে না।

অন্যান্য কার্যকারিতার কথা বললে, চমকপ্রদ এই জ্যাকেটটির সাহায্যে ইউজাররা মিউজিক প্লে এবং পজ করতে পারবেন। এছাড়া, এই প্রোডাক্টটিতে নেক্সট, প্রিভিয়াস, অ্যাওয়্যার মোডের মতো ফিচার পাওয়া যাবে। তদুপরি, এই অত্যাশ্চর্য স্মার্ট জ্যাকেটে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট (Google Assistant), বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্ট, সেলফি ক্লিক, লাইট, নেভিগেশন ফিচারও উপলব্ধ রয়েছে। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, ১৯৮ ডলার (প্রায় ১৫,৭০০ টাকা) দামে Google এই জ্যাকেটটি লঞ্চ করেছিল। অর্থাৎ এটির দাম একটি বাজেট স্মার্টফোনের সমতুল্য। সেক্ষেত্রে একগুচ্ছ কার্যকর ফিচারসমেত এই জিনিসটিকে হাতে পেতে গেলে এইটুকু টাকা নির্দ্বিধায় খরচা করাই যায়, আপনারা কি বলেন?

সঙ্গে থাকুন ➥