Cryptocurrency Buy: কীভাবে ক্রিপ্টো বা ডিজিটাল মুদ্রা কিনবেন

Avatar

Updated on:

বর্তমানে দেশে ক্রিপ্টো মুদ্রার ঊর্ধ্বমুখী জনপ্রিয়তার কথা কারোরই অজানা নয়। বিটকয়েন (Bitcoin), ইথেরিয়াম (Ethereum) সহ নানাবিধ ক্রিপ্টো মুদ্রায় বিনিয়োগেই আপাতত মনোনিবেশ করেছেন লগ্নিকারীদের আট থেকে আশি অনেকেই। তবে, দেশজুড়ে এমন অনিয়ন্ত্রিত ভাবে ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেনে ঘুম উড়েছে সরকারের। কিছুদিন আগে, পার্লামেন্টের অর্থনীতি সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির তরফে ক্রিপ্টো অর্থনীতি নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা আয়োজিত হয়েছিল। সম্প্রতি, একটি উচ্চস্তরের বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (Narendra Modi) দেশের অর্থনীতি ও যুবসমাজের ওপর ক্রিপ্টোর বিপজ্জনক প্রভাব সম্পর্কে জনগণকে সতর্ক করেছেন। পাশাপাশি, ক্রিপ্টো নিয়ে সাবধানবাণী শুনিয়েছে SEBI, RBI- এর গভর্নর সহ কেন্দ্রীয় আইনপ্রণয়নকারীদের একাংশও।

এসব কিছু সত্ত্বেও ক্রিপ্টোর মোহ থেকে যে বিনিয়োগকারীদের কোনোভাবেই বিমুখ করা সম্ভব নয়, তা বেশ স্পষ্ট। এমনকী সরকারও পুরোপুরি নিষিদ্ধকরণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে গিয়ে, ক্রিপ্টো নিয়ন্ত্রণে মধ্যপন্থা অবলম্বন করেছে। একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রের খবর অনুযায়ী, আসন্ন বাজেটে পার্লামেন্টে ক্রিপ্টো সংক্রান্ত একটি বিল পেশ হওয়ার কথা চলছে। এমত পরিস্থিতিতে যারা ক্রিপ্টো মুদ্রায় বিনিয়োগের কথা ভাবছেন অথচ এর সঠিক পদ্ধতি ও অন্যান্য খুঁটিনাটি তথ্য সম্পর্কে অবগত নন, তাদের জন্য রইলো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

ক্রিপ্টো মুদ্রা কী (What is Cryptocurrency)

ক্রিপ্টো মুদ্রা হল একটি ডিজিটাল কারেন্সি যা ক্রিপ্টোগ্রাফির দ্বারা সুরক্ষিত থাকে। এটি একটি পেমেন্ট মাধ্যম অথবা বিনিয়োগ মাধ্যম, উভয় রূপেই ব্যবহৃত হতে পারে। বাজারচলতি ক্রিপ্টো মুদ্রাগুলির মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল বিটকয়েন। প্রসঙ্গত, ক্রিপ্টোকারেন্সির এককগুলি ক্রিপ্টো মাইনিং নামে একটি পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়। প্রতিটি ক্রিপ্টো মুদ্রার ভিন্ন ভিন্ন মাইনিং, বন্টন ও অর্থনীতি সম্বন্ধিত নীতি রয়েছে। এই ডিজিটাল মুদ্রায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নীচে আলোচিত পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে।

ভারতে কীভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনবেন? (How to buy Cryptocurrency in India)

ধাপ ১ : Wikihow.com-এর তথ্য অনুযায়ী, ক্রিপ্টো মুদ্রায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথমেই যা দরকার তা হল একটি স্টোরেজ গঠন করা। কোনো অনলাইন ওয়ালেটে অথবা কোনো তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমেও বিটকয়েনের মতো মুদ্রাগুলি সঞ্চয় করা যায়।

ধাপ ২: কোনো এক্সচেঞ্জ পরিষেবার সুবিধা নেওয়া ক্রিপ্টো বিনিয়োগের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কোনো এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ক্রিপ্টো মুদ্রা সংগ্রহ করা ক্রিপ্টো বিনিয়োগের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। তবে, সেক্ষেত্রে, এক্সচেঞ্জ সার্ভিসের আওতায় অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য জমা করার প্রয়োজন রয়েছে।

ধাপ ৩: ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে নিজের চালু থাকা বৈধ ব্যাংক অ্যাকাউন্টটির সাথে এটিকে সংযুক্ত করতে হবে।

পদ্ধতিটি সহজ হলেও ক্রিপ্টো বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন অবশ্যই প্রয়োজন। বিনিয়োগের আগে সম্ভাব্য ঝুঁকিসহ অন্যান্য ভালোমন্দ সম্পর্কে বিশদে জেনে নিয়ে তবেই লগ্লির পথে পা বাড়ানো সমীচিন হবে।

সঙ্গে থাকুন ➥