নতুন বছরে ভারতে ব্যান হতে পারে YouTube? কর্মকর্তাকে সমন পাঠাল কেন্দ্র, অভিযোগ গুরুতর

Avatar

Published on:

YouTube Ban India

বিগত এক দশকের কাছাকাছি সময় ধরে ইন্টারনেট ইউজাররা মজে আছেন YouTube-এ। লাল রঙের লোগোযুক্ত এই ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মটি বিনোদনের জোগান তো বটেই, পাশাপাশি এটি থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত কৌতুহলের উত্তর এবং হাতেকলমে সহায়তা মেলে। বর্তমানে YouTube প্ল্যাটফর্মটি অনেকের উপার্জনের মাধ্যমও হয়ে উঠেছে। কিন্তু এবার এই প্ল্যাটফর্মটিকে কেন্দ্র এমন একটি নোটিশ পাঠিয়েছে, যা কোম্পানির পাশাপাশি আরও অনেকের কপালে ভাঁজ ফেলতে পারে! আসলে YouTube-এর পাবলিক পলিসি তথা গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স হেড মীরা চ্যাট (Mira Chatt)-কে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস বা NCPCR সম্প্রতি একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। ১০ই জানুয়ারি তারিখের এই নোটিশে বলা হয়েছে যে, মীরা, তাঁর প্ল্যাটফর্মে চাইল্ড সেক্সুয়াল অ্যাবিউজ় মেটেরিয়াল (CSAM) অর্থাৎ শিশুর যৌন নির্যাতনমূলক কন্টেন্টের প্রচার বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়া YouTube-এ শিশু সম্পর্কিত অন্যান্য কন্টেন্ট নিষিদ্ধ না করার জন্যও তাঁকে দায়ী করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে NCPCR প্রধান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো (Priyank Kanoongo) মীরাকে আগামী ১৫ই জানুয়ারি আইনি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উপস্থিত হতে সমন পাঠিয়েছেন।

এবার কি তবে ভারতে ব্যান হবে YouTube-ও?

আইটি নিয়ম ৩(১)(বি) অনুযায়ী উল্লিখিত কন্টেন্ট নিষিদ্ধ, আর এগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। ফলত আগামী সপ্তাহে মীরা, লিগ্যাল ইন্টারোগেশনের জন্য হাজির না হলে তাঁর এবং ইউটিউবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এমনকি ইউটিউবের ওপর আইনি পদক্ষেপ জারি হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই খবর সামনে আসার পর জল্পনা শুরু হয়েছে যে, হয়তো টিকটক (TikTok)-এর মতো এই বহুল ব্যবহৃত প্ল্যাটফর্মটিকেও এদেশে ব্যান জাতীয় নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে!

উল্লেখ্য, শিশুদের অধিকারের জন্য কাজ করা সংস্থা এনসিপিসিআর, মীরা চ্যাটকে হাজিরার নির্দেশের পাশাপাশি নির্দিষ্ট চ্যানেলের তালিকা উপস্থাপন করতেও বলেছে, যেগুলি শিশুদের সম্পর্কে আপত্তিকর কন্টেন্ট প্রচার করছে। একবার লিস্ট পেলে চ্যানেলগুলির বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ইতিমধ্যে, মহারাষ্ট্র পুলিশের সাইবার সেল, ইউটিউব ইন্ডিয়া এবং কিছু চ্যানেলের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে – এফআইআরের বিষয়ও শিশুদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর কন্টেন্ট উপস্থাপন। সব মিলিয়ে ইউটিউবকে বড়সড় আইনি ঝামেলার মুখে পড়তে হতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত ইউটিউব ইন্ডিয়ার তরফে এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

সঙ্গে থাকুন ➥