Tesla: একটা দুটো নয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে 20 লক্ষ বৈদ্যুতিক গাড়ি ফেরত নিচ্ছে টেসলা

সমগ্র বিশ্বে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে প্রথম সারির সংস্থা হিসেবে বিরাজমান ধনকুবের ইলন মাস্কের কোম্পানি টেসলা (Tesla)। ই-গাড়ি বিক্রির দিক থেকেও বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম সংস্থা এটি। কিন্তু সুখ্যাতির ভরা জোয়ারে সিঁদুরে মেঘ হয়ে দেখা দিল অটোপাইলট সিস্টেমের ত্রুটি। তাও আবার দু’চারটি গাড়িতে নয়। উক্ত প্রযুক্তিতে গোলযোগ থাকার আশঙ্কায় আমেরিকার ২০ লক্ষ ইলেকট্রিক ভেহিকেল রিকল করেছে টেসলা।

টেসলার ২০ লক্ষ গাড়ির অটোপাইলট সিস্টেমের ত্রুটি

এখন বিষয়, এই অটোপাইলট সিস্টেমটি আসলে কী? স্বয়ংক্রিয় বা সেল্ফ ড্রাইভ মোড সক্রিয় থাকলে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে রাস্তায় যানজট বুঝে গাড়ি এগিয়ে চলে। ফলে এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিতে ত্রুটি থাকলে যে কোন সময় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে গাড়ি। তাই অতি তৎপরতার সাথে ২০ লক্ষ বৈদ্যুতিক গাড়ি ফেরত চেয়েছে ইলন মাস্কের কোম্পানি।

বলতে গেলে টেসলা অটো পাইলট সিস্টেম নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। অনেকের ধারনা এর কারণে আমেরিকার রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়েছে অসংখ্য গাড়িকে। ক্রমশ বেড়ে চলা পথ দুর্ঘটনার নেপথ্যে কারণ খতিয়ে দেখার উদ্দেশ্যে ইউএস ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর বা এনএইচটিএসএ (NHTSA) তদন্তের শুরুর প্রায় দু’বছর পর নড়ে চড়ে বসেছে সংস্থা। টেসলার গাড়ির অটোপাইলটে এই গোলযোগ এনএইচটিএসএ-এর নজরে প্রথম আসে।

জানা গেছে আমেরিকায় ২০১৫ থেকে বিক্রি হওয়া টেসলার সমস্ত গাড়ির অটোপাইলট সিস্টেম বিনামূল্যে পরীক্ষা করে দেখা হবে। সমাধানের উপায় হিসেবে সফটওয়্যারে আপডেট দেওয়া হতে পারে। যা সেল্ফ ড্রাইভিংয়ের সময় চালককে সতর্ক থাকার জন্য বার্তা দেবে। এই প্রসঙ্গে এনএইচটিএসএ জানিয়েছে, “অটোমোটেড টেকনোলজি সুরক্ষা উন্নয়নের প্রতি ব্যাপকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” এও বলা হয়, “আজকের পদক্ষেপ কেবলমাত্র অটোমোটেড সিস্টেমের সুরক্ষা বৃদ্ধির একটি নিদর্শন।”

প্রসঙ্গত, রাস্তায় চলার সময় সামনের গাড়ি ও যাত্রীদের অবস্থান বোঝার জন্য টেসলার অটোপাইলট সিস্টেম ক্যামেরা এবং সেন্সরের ব্যবহার করে। গাড়ি সুরক্ষিত পথে চলছে কিনা, তা দেখার জন্য লেন মার্কারের উপর নজর রাখা হয়। অতীতে টেসলার সিইও ইলন মাস্ক বলেছিলেন, মানুষ ভুল করতে পারে, কিন্তু অটোপাইলট একদমই নয়।