লঞ্চ হল DJI Mavic 3 ও Mavic 3 Cine ড্রোন, রয়েছে Hasselblad এর ক্যামেরা প্রযুক্তি

জনপ্রিয় চীনা কোম্পানি DJI আজ তাদের নতুন দুটি ড্রোন Mavic 3 ও Mavic 3 Cine লঞ্চ করল। এই নতুন মাভিক মডেলগুলি ২০১৮ সালে বাজারে আসা Mavic 2 Pro ও Mavic 2 Zoom এর উত্তরসূরী হিসেবে এসেছে। এগুলিতে প্রায় একই রকম ফোল্ডেবল ডিজাইন দেখা যাবে। এছাড়া রয়েছে ডুয়েল ক্যামেরা, যা ডেভেলপ করেছে পরিচিত সুইডিশ ব্র্যান্ড, Hasselblad। দুটি মডেলের মধ্যে Mavic 3 Cine আরও উন্নত ফিচার অফার করবে। আসুন ড্রোন দুটির দাম ও বিশেষত্ব জেনে নেওয়া যাক।

DJI Mavic 3, Mavic 3 Cine দাম

DJI Mavic 3 এর দাম রাখা হয়েছে ২,১৯৯ ডলার, যা প্রায় ১,৬৪,০০০ টাকার সমান। আবার এর সাথে DJI Mavic 3 Fly More Combo নিলে দাম পড়বে ২,৯৯৯ ডলার (প্রায় ২,২৩,০০০ টাকা)। কম্বো প্যাকের সাথে অতিরিক্ত হিসেবে দুটি ব্যাটারি, পাঁচ জোড়া প্রোপেলার, একটি ব্যাটারি চার্জিং হাব ও এনডি ফিল্টার সেট পাওয়া যাবে।
অন্যদিকে DJI Mavic 3 Cine এর মূল্য ধার্য করা হয়েছে ৪,৯৯৯ ডলার (প্রায় ৩,৭১,৫০০ টাকা)। এটিও DJI Mavic Cine 3 Premium Combo অপশন সহ কেনা যাবে।

আপাতত ড্রোন দুটি আমেরিকার বাজারে উপলব্ধ। অন্যান্য মার্কেটে এগুলি কবে আসবে তা এখনও জানা যায়নি।

DJI Mavic 3, Mavic 3 Cine স্পেসিফিকেশন, ফিচার

DJI -এর Mavic 3, Mavic 3 Cine দুটোতেই থাকছে কাস্টমাইজড L2D-2C এরিয়াল ক্যামেরা, যেখানে ২৪মিমি প্রাইমারি লেন্স সহ ৪/৩ সিএমওএস সেন্সর দেওয়া হয়েছে। এই সেন্সর ৮৪ ডিগ্রি ফিল্ড অফ ভিউ অফার করবে। আবার ক্যামেরার দ্বিতীয় সেন্সর হল ২৮এক্স হাইব্রিড জুম ও এফ/৪.৪ অ্যাপারচার সহ ১৬২মিমি টেলি লেন্স‌। সর্বোপরি এই ক্যামেরা সিস্টেমে এফ/২.৮ থেকে এফ/১১ অ্যাপারচার সাপোর্ট করবে।

এই ডুয়েল ক্যামেরা সিস্টেম Hasselblad এর সফটওয়্যার অ্যালগরিদম দ্বারা পরিচালিত হবে, যা ১২ বিট র ফরম্যাটে ২০ মেগাপিক্সেল স্টিল ইমেজ এবং ৫০ এফপিএস-এ ৫.১কে (5.1K) এবং ১২০ এফপিএস-এ ৪কে (4K) ভিডিও রেকর্ড করতে দেবে।

অন্যদিকে DJI Mavic 3 Cine ড্রোনে Apple ProRes 422 HQ সাপোর্ট রয়েছে এবং এটি ১টিবি এসএসডি সহ এসেছে। তবে স্ট্যান্ডার্ড ভার্সন, অর্থাৎ Mavic 3-এ পাওয়া যাবে ৮ জিবি স্টোরেজ। এছাড়া দুটি ড্রোনের মধ্যে আর কোনো পার্থক্য নেই বললেই চলে।

DJI দাবি করেছে ,এগুলিতে Hasselblad কালার সলিউশন থাকায়, এরা যেকোনও ধরনের কালার ক্যাপচার করতে সক্ষম। এর পাশাপাশি কোনও সাবজেক্ট যদি খুব তাড়াতাড়ি সরে যায় তাও সুন্দরভাবে ক্যাপচার করার ক্ষমতা রয়েছে এই ড্রোনগুলির।

আবার এগুলিতে রয়েছে উন্নততর ActiveTrack 5.0 ফিচার, যার মাধ্যমে এটি GPS, GLONASS এবং BeiDou satellites থেকে সহজেই যেকোনও সিগন্যাল ধরতে পারবে। এর পাশাপাশি এটি ড্রোনকে সামনে-পেছনে ,ডানদিকে বাদিকে এবং যেকোনও ডিরেকশনে ঘোরাতে পারবে।

Mavic 3, Mavic 3 Cine একটি উন্নততর AirSense system সহ এসেছে, যা পাইলটকে নিকটবর্তী কোনও প্লেন বা হেলিকপ্টারের উপস্থিতি সম্পর্কে আগাম সচেতন করবে। এমনকি ড্রোনের কাছাকাছি কোনও সেনসিটিভ লোকেশন আছে কিনা তারও জানান দেবে এই সিস্টেম।

ব্যাটারি ব্যাকআপের কথা বললে, নতুন Mavic 3 এসেছে ৫,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি সহ, যা ৪৬ মিনিট পর্যন্ত ফ্লাইং টাইম অফার করবে। উল্লেখ্য, Mavic 2-এর ব্যাটারির ক্ষমতা ছিল মাত্র ৩১ মিনিট। আগের ভার্সনগুলিরর তুলনায় এর স্পিডও থাকবে যথেষ্ট বেশি এবং এর ভিডিওর কোয়ালিটিও হবে যথেষ্ট পরিষ্কার।

Mavic 3 এর ওজন থাকছে মাত্র ৮৯৫ গ্রাম এবং Mavic 3 Cine এর ওজন থাকছে ৮৯৯ গ্রাম ।