Samsung, Vivo-র দাপটে বাজার থেকে হারিয়ে যাচ্ছে Xiaomi Redmi? নয়া রিপোর্টে কে কোথায় দেখে নিন

Apple এখনও ভারতে আল্ট্রা-প্রিমিয়াম সেগমেন্টে তার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে

বর্তমানে ভারতের স্মার্টফোন মার্কেটে প্রিমিয়াম সেগমেন্টের ডিভাইসগুলির উত্থান দেখা যাচ্ছে। যদিও, এদেশের স্মার্টফোন বাজার সামগ্রিকভাবে চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় ৩% পতনের মুখোমুখি হয়েছে, কিন্তু প্রিমিয়াম সেগমেন্টে (৩০,০০০ টাকার ওপরে) উল্লেখযোগ্যভাবে ১১২% ইয়ার-ওভার-ইয়ার (YoY) বৃদ্ধি দেখা গেছে, যা সামগ্রিক স্মার্টফোন সরবরাহে ১৭% অবদান রেখেছে। Samsung বাজারে এই কোয়ার্টারে তাদের নেতৃত্ব ধরে রেখেছে এবং ৩৪% শেয়ারের সাথে প্রিমিয়াম বিভাগে শীর্ষস্থানে আছে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী Apple-কে ছাড়িয়ে গেছে। তবে অ্যাপল আল্ট্রা-প্রিমিয়াম বিভাগে তাদের আধিপত্য বজায় রেখেছে।

Apple এখনও ভারতে আল্ট্রা-প্রিমিয়াম সেগমেন্টে তার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে

মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থা, অ্যাপল ৫৯% শেয়ারের সাথে আল্ট্রা-প্রিমিয়াম (৪৫,০০০ টাকার বেশি দামের) সেগমেন্টে আধিপত্য বজায় রেখেছে, যা ভারতকে তার শীর্ষ পাঁচটি গ্লোবাল মার্কেটের মধ্যে অন্যতম করে তুলেছে। ভিভো (Vivo) সামগ্রিক বাজারে তাদের দ্বিতীয় স্থানটি বজায় রেখেছে এবং এর শিপমেন্টে আগের বছরের একই ত্রৈমাসিকের তুলনায় বৃদ্ধি দেখা গেছে। এদিকে, ওপ্পো (Oppo) ২১% মার্কেট শেয়ারের সাথে হাই মিড-রেঞ্জে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। আর ওয়ানপ্লাস (OnePlus) ৬৮% ইয়ার-ওভার-ইয়ার বৃদ্ধির সাথে ভারতের স্মার্টফোন বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ব্র্যান্ড হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, 5G স্মার্টফোন শিপমেন্ট ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ক্রমবর্ধমান ইউনিট অতিক্রম করেছে, যা ৫৯% ইয়ার-ওভার-ইয়ার বৃদ্ধিকে নির্দেশ করে। এর পিছনে অন্যতম কারণ হল প্রসারিত 5G নেটওয়ার্ক এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ডিভাইসগুলির উপলব্ধতা৷ পাশাপাশি Xiaomi, Realme, Realme, Samsung, Apple-এর মতো ব্র্যান্ডগুলি অফলাইন চ্যানেলগুলির মাধ্যমে ব্যবসা বাড়াতে কোমর বেঁধে নেমেছে এবং তাদের শেয়ার এবছরের মধ্যে ৫৪%-এ পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

এছাড়া, বাজারে 4G ফিচার ফোনের শিপমেন্টও বেড়েছে, যা এবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সামগ্রিক ফিচার ফোন বাজারের ১০%-এ পৌঁছেছে। এই বৃদ্ধিটি প্রধানত জিওভারত (JioBharat)এবং আইটেল গুরু (Itel Guru) সিরিজের লঞ্চের কারণে সম্ভব হয়েছে, এটি ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ ১৮%-এ পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।