তেল না খেয়েই একটানা 631 কিমি দৌড়য়, Hyundai-র এই গাড়ি বিক্রি হচ্ছে রমরমিয়ে

ভারতে ইদানিং বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ চোখে পড়ার মতোই। একইসাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লাক্সারি ব্যাটারি গাড়ির চাহিদা। যার হাতেনাতে প্রমাণ দিল দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি হুন্ডাই (Hyundai)। সংস্থাটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে জানিয়েছে ইতিমধ্যেই ভারতে ফ্ল্যাগশিপ মডেল Ioniq 5-এর ৫০০ ইউনিট ডেলিভারি দিয়েছে তারা। জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ অটো এক্সপো-তে গাড়িটি লঞ্চ হয়েছিল। লাক্সারি গাড়ি হওয়াহ কারণে এই পাঁচ মাসের মধ্যে ৫০০ ইউনিট বিক্রিকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখছে হুন্ডাই। প্রথম ৫০০ জন ক্রেতার জন্য স্থানীয়ভাবে অ্যাসেম্বেল করা ইলেকট্রিক গাড়িটির দাম ৪৪.৯৫ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) ধার্য করা হয়েছিল। এবারে Hyundai Ioniq 5-এর মূল্যে পরিবর্তন আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Hyundai Ioniq 5 -এর ৫০০ ইউনিট বিক্রি হল

Ioniq 5-এর লঞ্চের মঞ্চ থেকে হুন্ডাই জানিয়েছিল ২০২৩-এ তারা এদেশে গাড়িটির ৫০০ ইউনিট বিক্রি করবে। ইতিমধ্যেই নিজেদের সেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলেছে তারা। এখন প্রশ্নঅহচ্ছে, বছর শেষ হতে এখনও প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস বাকি। এই সময়ের জন্য কোরিয়ার সংস্থাটি তাদের এই গাড়ির আরও মডেল বিক্রির কথা জানায় কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয!

প্রসঙ্গত, পরশুদিন হুন্ডাই ভারতে তাদের সবচেয়ে সস্তার ও ক্ষুদ্রতম এসইউভি Exter লঞ্চ করেছে। সে সময় আয়োনিক ৫-এর প্রসঙ্গে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও উনসু কিম বলেন, “ভারতে আইকনিক এসইউভি Ioniq 5 লঞ্চের মাধ্যমে আমরা ২০২৩ শুরু করেছিলাম। গাড়িটি ভারতীয়দের থেকে প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছে এবং গত পাঁচ মাসে ৫০০ ইউনিট বিক্রি হয়েছে।”

Hyundai Ioniq 5 : স্পেসিফিকেশন, রেঞ্জ ও ব্যাটারি

Hyundai Ioniq 5 সংস্থার E-GMP প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। যা Kia EV6-এর ক্ষেত্রেও ব্যবহার হতে দেখা গিয়েছে। তবে সম্পূর্ণ গাড়ি আমদানি করে বিক্রি করার পরিবর্তে এদেশে যন্ত্রাংশ জুড়ে বিক্রি করার ফলে Ioniq 5, Kia EV6-এর চাইতে ১৫ লাখ টাকা সস্তা। গাড়িটিতে মডার্ন রেট্রো ডিজাইন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শিল্পকর্ম বাড়াতে দেওয়া হয়েছে প্যারামেট্রিক পিক্সেল লাইট, বর্গাকৃতি হেডল্যাম্প এবং মাউস্টেক গ্রিল। আবার কেবিনে রয়েছে ডুয়েল স্ক্রিন ও সেরা মানের উপাদান।

Hyundai Ioniq 5-এর ভারতীয় ভার্সনে উপস্থিত একটি ৭২.৬ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাক। যা ফুল চার্জে ৬৩১ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ প্রদান করতে পারে বলে দাবি সংস্থার। ব্যাটারিটি একটি ৩৫০ কিলোওয়াট ডিসি ফাস্ট চার্জারে ১০-৮০% চার্জ করতে ১৮ মিনিট সময় লাগে। এর পিএমএস মোটর থেকে ২১৫ বিএইচপি শক্তি এবং ৩৫০ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। প্রতি ঘন্টায় গাড়িটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৮৫ কিলোমিটার।

গাড়িটির ফিচারের তালিকায় উপস্থিত অ্যাডাস বা অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স সিস্টেম। এছাড়া রয়েছে প্রিমিয়াম বোস সাউন্ড সিস্টেম, ভেন্টিলেটেড ফ্রন্ট সিট, ওয়্যারলেস অ্যাপেল কারপ্লে এবং অ্যান্ড্রয়েড অটো, অ্যাক্টিভ এয়ার ফ্ল্যাপ, ভেহিকেল-টু-লোড টেকনোলজি, হুন্ডাই ব্লু লিঙ্ক কানেক্টিভিটি ইত্যাদি।