লাভ কমলেও ব্যবসা বাড়াতে সফল Airtel, কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে দেশ-বিদেশের সংস্থা
যাবতীয় বাধাবিপত্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে তার কোম্পানি দেশীয় টেলিকম বাজারের অন্যতম সফল সংস্থা হিসেবে উঠে এসেছে বলে মন্তব্য করলেন Airtel-এর সিইও (CEO) সুনীল মিত্তল। তার আরো দাবি একের পর এক যুদ্ধে জয়ী হয়ে Airtel বর্তমানে একটি স্থিতিস্থাপক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে। অথচ শেষ পাঁচ বছরে মুনাফার ক্রমাগত পতন এবং বাড়তে থাকা ঋণের বোঝা যে বারবার তাদের আশঙ্কা ও উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছিল সেটা মনে করাতেও মিত্তল ভোলেননি। তবে অল ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বা সংক্ষেপে, AIMA -এর মঞ্চে বক্তৃতা প্রদানের সময় Airtel-এর সিইও'র মুখে অধিকাংশত নানা চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে সংস্থার বর্তমান অভাবিত সাফল্যের কথাই জায়গা করে নিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই (PTI) সূত্রের খবর, এদিন মিত্তলের বক্তব্যে Airtel -এর অধীনে কর্মরত পেশাদারদের বিশেষ সুখ্যাতি ধরা পড়ে। মিত্তল জানান, অন্তিম পাঁচ বছরে টেলিকম বাণিজ্য থেকে আয়ের পরিমাণ উত্তরোত্তর কমেছে। অথচ এরই বিপরীতে আবার খরচের প্রয়োজন পড়েছে অনেক বেশি। মিত্তলের দাবি, কেবলমাত্র এদেশে পরিষেবা সরবরাহ করতে প্রতিবছর প্রায় ৩-৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (বা ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ২০,০০০ কোটি টাকা) খরচের দরকার পড়ে। ফলে লাভের অঙ্ক কমলে তা যে টেলকোগুলির জন্য অত্যন্ত লোকসানজনক হবে সেটা বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখেনা।
তাছাড়া এয়ারটেল প্রধান সম্প্রতি একথাও জানান যে ইতিমধ্যেই তাদের সংস্থা বিভিন্ন লগ্নিকারীদের থেকে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ টানতে সমর্থ হয়েছে। এভাবে গত ৩০ মাসে বাজার থেকে গৃহীত এয়ারটেলের আলোচ্য পুঁজির পরিমাণ আনুমানিক ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে মিত্তল মন্তব্য করেছেন।
উল্লেখ্য, লগ্নিকারীদের তরফ থেকে প্রাপ্ত মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বাজারে এয়ারটেলকে অনেকটাই স্বস্তি দেবে বলে আমাদের অনুমান। সংস্থার সিইও নিজেও সেকথা স্বীকার করেছেন। এর ফলে সংস্থাটি দীর্ঘমেয়াদী নানা পরিকল্পনা রূপায়নে সফল হতে পারে।
সর্বোপরি এয়ারটেল সিইও বলেন, বর্তমানে তাদের সংস্থা ভারতের অন্যতম পেশাদার কোম্পানি যারা একের পর এক আঘাতের পরেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সেক্ষেত্রে সম্প্রতি তাদের অবস্থা বেশ স্থিতিস্থাপক। ভারতের সবচেয়ে সেরা পেশাদার কর্মীদের নিয়ে Airtel আগামীদিনে যে কোনো ঝুঁকি গ্রহণে তৈরী বলে মিত্তল মন্তব্য করেন।