মহাকাশে আছে অদৃশ্য দেওয়াল, কীভাবে সৃষ্টি জানাল বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীর বাইরে বিপুল ও অনন্ত মহাকাশ চিরকালই আমাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। একের পর এক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও আজও আমরা এর অধিকাংশ রহস্য ভেদ করতে ব্যর্থ। যদিও এ নিয়ে হতাশা বা আক্ষেপ ব্যক্ত করে, হাল ছেড়ে বসে থাকার কোন প্রশ্নই নেই। বিশেষত বিজ্ঞানীরা তো সর্বদাই মহাবিশ্বের রহস্য জানার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তেমনই এক গবেষণায় এবার উঠে এল চমকে দেওয়ার মতো নতুন তথ্য। গবেষণারত বিজ্ঞানীদের দাবি, চির রহস্যাবৃত মহাকাশে রয়েছে একাধিক অদৃশ্য দেওয়াল যারা কোনও পঞ্চম বলের প্রভাবে তৈরী হয়ে থাকতে পারে।
মহাবিশ্বে অদৃশ্য দেওয়াল - কি বলছেন বিজ্ঞানীরা?
আজ্ঞে হ্যাঁ, অদৃশ্য দেওয়াল যেগুলি রহস্যে মোড়া মহাকাশের বিভিন্ন স্তর উন্মোচনে বিজ্ঞানীদের সহায় হয়ে উঠতে পারে। এরা ঘরের সাধারণ দেওয়ালের মতো নয়। এরা সাধারণ বাধার থেকেও অতিরিক্ত কিছু। যে পঞ্চম বলের দ্বারা এই দেওয়ালগুলি তৈরী তার জন্য বিজ্ঞানীরা দায়ী করেছেন সিমেট্রন (Symmetron) নামক এক প্রকল্পিত কণাকে (Particle)। অবশ্য, এই কণার উপস্থিতি এখনও প্রমাণিত নয়। ফলে, মহাবিশ্বের অদৃশ্য দেওয়াল সংক্রান্ত দাবি এখনও প্রকল্পের পর্যায়ে রয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে মহাবিশ্ব সম্পর্কিত খোঁজ বা চর্চার জন্য আমরা ল্যামডা কোল্ড ডার্ক ম্যাটার মডেলটিকে (Lambda Cold Dark Matter Model) মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। এই মডেল অনুযায়ী, মহাবিশ্বে ক্ষুদ্রাকৃতি Galaxy বা ছায়াপথগুলি বৃহত্তর ছায়াপথের কক্ষে অসংলগ্নভাবে ছড়িয়ে থাকে। তবে বাস্তবে, ক্ষুদ্রাকৃতি ছায়াপথেরা বৃহত্তর ছায়াপথের কক্ষে চাকতির মতো সমতল প্লেনে (Flat planes) ছড়ানো থাকে বলে জানা গিয়েছে। মহাবিশ্বে একাধিক অদৃশ্য দেওয়াল উপস্থিত থাকলে দ্বিতীয় অনুমান সত্য হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে গবেষকদের ধারণা।
অন্য কথায় বলা যায়, ব্রহ্মাণ্ডের ক্ষুদ্রাকৃতি উপগ্রহ ছায়াপথগুলি বৃহত্তর ছায়াপথের মহাকর্ষীয় বল দ্বারা চাকতির মতো সমতল প্লেনে সন্নিবেশিত থাকে। যদিও আমাদের দ্বারা ব্যবহৃত ল্যামডা কোল্ড ডার্ক ম্যাটার মডেলের অভিমত এর সম্পূর্ণ বিপরীত।
যাইহোক, সদ্য নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল নতুন খোঁজ সম্পর্কিত তাদের গবেষণা তুলে ধরেছেন। বর্তমানে প্রি-প্রিন্ট সার্ভার আর্ক্সিভ (arXiv) থেকে আগ্রহীরা তাদের গবেষণা অ্যাক্সেস করতে পারবেন। গবেষকেরা এটিকে 'The First Potential New Physics Explanation' নামে সামনে এনেছেন।