Heat Wave: তীব্র গরম টেনশন বাড়াচ্ছে Jio, Airtel-দের, ভোটের পর লাগতে পারে বড় ঝটকা
এবারে ভারতে গ্রীষ্মের মরসুম যেন ভয়াল রূপ ধারণ করেছে। এপ্রিল মাস থেকেই প্রচণ্ড গরমে জেরবার পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন জায়গা – দেশের অধিকাংশ স্থানে তাপমাত্রার ঊর্ধ্বমুখী পারদ তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, চারিদিকে বইছে লু, আর আমাদের রোজনামচার সাথে জড়িয়ে গেছে একটি শব্দ 'হিট-ওয়েভ' (heat wave)। এক্ষেত্রে বাইরে বেরোলে অস্বস্তি তো বটেই, ঘরের ভেতরেও মিলছেনা শান্তি! তবে, এই অসহ্য গরম ও তাপপ্রবাহ যে শুধু মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে, তা কিন্তু নয়। গ্রীষ্মের তীব্রতার কারণে এখন টেলিকম কোম্পানিগুলিরও মাথায় হাত পড়ার জোগাড় হয়েছে, যে কারণে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কাজ স্লো হয়ে যেতে পারে।
গরমের সাথে বেড়েছে দেশের টেলিকম কোম্পানিগুলির উত্তেজনাও
আসলে বিগত কয়েক সপ্তাহে অত্যধিক তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio), এয়ারটেল (Airtel)-এর মতো টেলিকম কোম্পানিগুলির টাওয়ারের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র অর্থাৎ এয়ার কন্ডিশনার জাতীয় অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহারের খরচ বেড়েছে। কেননা, এই টেলিকম টাওয়ার বেস স্টেশনগুলি ২৪×৭ অর্থাৎ সবসময় নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল কানেকশন প্রদানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ফলত এগুলির সঠিক যত্নও প্রয়োজন। ইকোনমিক টাইমস (ET)-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ইন্ডাস্ট্রি এক্সিকিউটিভ এবং অ্যানালাইজাররা বলেছেন যে আগামী মাসেও যদি এই তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির পরিবর্তন বা উন্নতি না হয়, তাহলে জিও, এয়ারটেল এবং ভোডাফোন-আইডিয়া (Vodafone Idea)-কে তাদের মোবাইল টাওয়ার সচল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ও জ্বালানির জন্য আরও বেশি খরচ করতে হবে।
তাঁদের মতে, যদি তাপমাত্রা না কমে এবং তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি চলতেই থাকে, তাহলে টাওয়ারে ইনস্টল করা মেশিনগুলির জন্য প্রয়োজনীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ জাতীয় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টেলিকম সংস্থাগুলির বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খরচ ৩% থেকে ৫% পর্যন্ত বাড়তে পারে। প্রসঙ্গত, ভারতের নেটওয়ার্ক সংস্থাগুলি গরম আবহাওয়ায় কাজ করতে অভ্যস্ত। কিন্তু এই বছরের মাত্রাতিরিক্ত গরম বা তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি, টেলকোগুলির নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের গতি কমিয়ে দিতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই বাংলায় শেষমেশ কালবৈশাখী এলেও, মোবাইল কমিউনিকেশনের ওপর বয়ে চলা ঝড়ের কী হবে, তা বলা মুশকিল!
ভোটের পর সমস্যা আরও বাড়তে পারে
এমনিতে ভারতের টেলিকম সংস্থাগুলির বার্ষিক নেটওয়ার্ক পরিচালনার খরচের মধ্যে ৪৫-৫৫ শতাংশ ব্যয়ের কারণ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি। এক্ষেত্রে টাওয়ার চালানোর জন্য ডিজেলের পেছনে ব্যয় অন্যতম – কোম্পানিগুলির খরচের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে এই ডিজেল বা জ্বালানির খরচ। সেক্ষেত্রে লোকসভা নির্বাচনের পর ডিজেলের দাম বাড়ালে টেলিকম কোম্পানির সমস্যা আরও বাড়বে। এমনিতেই এয়ারটেলরা ভোটের পর রিচার্জ খরচ বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল, তাই এরমধ্যে পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়ালে সেই ইঙ্গিত যে সত্যি হয়ে উঠতে তেমন বাধা থাকবেনা, তাতে সন্দেহ নেই!