Starlink: স্টারলিঙ্কের কানেকশন নেবেন? বছরে খরচ হতে পারে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা

খুব শীঘ্রই বাণিজ্যিকভাবে ভারতে তাদের যাত্রা শুরু করতে তৎপর স্যাটেলাইট নির্ভর ব্রডব্যান্ড পরিষেবা সরবরাহকারী সংস্থা স্টারলিঙ্ক (Starlink)। প্রখ্যাত ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন এই স্যাটকম (Satcom) কোম্পানি সর্বতোভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে আগামী ২০২২ সালের মধ্যভাগ নাগাদ তারা এদেশের বাজারে প্রবেশ করতে পারে। অন্যদিকে ভারতীয় গ্রাহকেরাও নিয়মিতভাবে Starlink ব্রডব্যান্ড পরিষেবার প্রতি তাদের আগ্রহ প্রকাশ করে চলেছেন। এই পরিস্থিতিতে সংস্থার এদেশীয় প্রধান সঞ্জয় ভার্গভ তার LinkedIn পোস্টে Starlink পরিষেবা ব্যবহারের সম্ভাব্য খরচ সম্পর্কে আভাস দিয়েছেন যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। পোস্টে শেয়ার করা একটি লিঙ্ক থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে স্যাটেলাইট নির্ভর উচ্চ গতির স্টারলিঙ্ক ব্রডব্যান্ড কানেকশন গ্রহণের জন্য প্রথম বছরে আগ্রহীদের প্রায় ১,২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

স্টারলিঙ্ক কানেকশনের নিতে ভারতে কত খরচ পড়বে (Starlink Connection Cost expected in India)

স্টারলিঙ্ক কানেকশন গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনতে প্রাথমিক খরচ প্রায় ৪৯৯ মার্কিন ডলার বা ৩৭,৪০০ টাকা। এরপর পরিষেবা ব্যবহারের জন্য মাসে মাসে আগ্রহীকে ৯৯ ডলার বা প্রায় ৭,৪২৫ টাকা খরচ করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে নতুন কানেকশন গ্রহণের প্রথম মাসে আগ্রহীর প্রায় ৪৫,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। তবে স্টারলিঙ্ক পরিষেবা ব্যবহারের জন্য জরুরি উপকরণ কিনতে প্রতি বছর নতুন করে টাকা খরচের দরকার পড়বে না। পরিষেবা উপভোগের জন্য দ্বিতীয় বছর থেকে উপভোক্তাদের বছরে প্রায় ৯০,০০০ টাকা খরচ করতে হবে বলে আমাদের অনুমান।

উল্লেখ্য, স্টারলিঙ্ক পরিষেবা বিক্রি মারফত প্রাপ্ত কর ও অন্যান্য মাশুল থেকে সরকারি রাজকোষ দারুণভাবে লাভবান হবে বলে মনে করা হচ্ছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের কানেকশন গ্রহণের ফলে ব্যাপকভাবে লাভবান হবে বলে স্টারলিঙ্কের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে। তাছাড়া সংস্থা এটাও জানিয়েছে যে ১০০ শতাংশ ব্রডব্যান্ড কভারেজ পেতে চাইলে বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অবস্থিত জেলা অথবা শহরগুলি তাদের পাইলট প্রোজেক্টে সামিল হতে পারে।

এদিকে শোনা গিয়েছে যে ২০২২ সালের ৩১শে জানুয়ারি বা তার আগেই Starlink কর্তৃপক্ষ বাণিজ্যিক লাইসেন্সের জন্য সরকারের কাছে আবেদন পেশ করতে চলেছে। সেক্ষেত্রে বড় কোনো সমস্যা দেখা না দিলে আগামী বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে তাদের ছাড়পত্র পেয়ে যাওয়ার কথা। তবে লাইসেন্স পেতে দেরী হলে ভারতে তাদের বাণিজ্যিক যাত্রার সূচনা যে আরো কিছুটা পিছিয়ে যাবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।