ফোন খুঁজতে বাঁধের 21 লক্ষ লিটার জল তুলে ফেলা সরকারি কর্তা সাসপেন্ড, সঙ্গে 21 লক্ষ টাকা জরিমানা

মোবাইল ফোন আধুনিক যুগে মানুষের জীবনে একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আর যদি হাতে থাকে একটি স্মার্টফোন, তাহলে জীবনযাত্রা আরও সহজ হয়ে ওঠে। ফিচার সমৃদ্ধ ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন কিনতে অনেকেরই পকেট হালকা হয়, তবুও বহু মানুষ তা কিনতে কসুর করেন না। আর দামী ফোনকে সুরক্ষিত রাখতে কভার থেকে প্রোটেক্টিভ কেস – সবই ব্যবহার করে থাকেন। তবে এখন প্রশ্ন হল আপনি আপনার ডিভাইসটি রক্ষা করতে কতদূর যাবেন, যদি দুর্ঘটনাক্রমে সেটি হাত ফস্কে এমন কোনও জায়গায় পড়ে যায়, যেখানে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব। ভারতের এক সরকারি আধিকারিক তার নতুন Samsung Galaxy S23 Ultra-কে রক্ষা করতে কিন্তু অনেক দূর এগিয়েছেন, যার ফলে তাকে খোয়াতে হয়েছে চাকরিও। কি সেই ঘটনা, আসুন জেনে নেওয়া যাক।

ছত্তিশগড়ের কাঁকের জেলার খেরকাট্টা বাঁধের সামনে সেলফি তোলার সময় রাজেশ বিশ্বাস নামে খাদ্য দফতরের এক আধিকারিকের নতুন স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ আল্ট্রা পড়ে যায় সোজা জলের মধ্যে। আর এই রীতিমত ব্যয়বহুল স্মার্টফোনটিকে পুনরুদ্ধার করার জন্য তিনি ঘটনাক্রমে এক চরম পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, যার পরিণাম তার পক্ষে একেবারেই সুখকর ছিল না।

প্রাথমিকভাবে, তিনি হ্যান্ডসেটটি খুঁজে পেতে কিছু পরিচিত গ্রামবাসীকে কাজে লাগান, যারা ড্যামের মধ্যে ডুব দিয়ে হ্যান্ডসেটটিকে খুঁজে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে বাঁধ থেকে জল তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। রাজেশ দু’টি পাম্প নিয়ে এসে ফোন খোঁজার জন্য টানা ৩ দিন ধরে সেই জল বার করে দেন। ২১ লক্ষ লিটার জল তুলে ফেলার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

সেচ দফতরের দাবি, যে পরিমাণ জল তুলে ফেলা হয়েছে, তা ১৫০০ একর জমি চাষের কাজে ব্যবহার করা যেত। এই ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের জন্য শাস্তির দাবিও জোরালো হতে থাকে। শেষমেশ ওই আধিকারিককে সাসপেন্ড করে ২১ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় প্রশাসন।