Common Charger: একটি চার্জারেই চার্জ হবে একাধিক ডিভাইস, নতুন নিয়ম আনতে উদ্যোগী কেন্দ্র

বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ছাড়াও এমন কিছু গ্যাজেট জড়িয়ে রয়েছে, যেগুলিকে সময়ে সময়ে চার্জ দিতে হয়। কিন্তু মুশকিল হল যে প্রতিটি ডিভাইসের চার্জিংয়ের পোর্ট আলাদা আলাদা ধরণের, ফলত এই ওয়ান ডিভাইস-ওয়ান চার্জার সিস্টেমের দরুন একাধিক ডিভাইস বা গ্যাজেট ব্যবহারের জন্য আমাদের একটি চার্জারে কাজ মেটে না। সেক্ষেত্রে এক চার্জারে বেশির ভাগ ডিভাইসের চার্জ করার বিষয়টি নিয়ে ইউরোপের দেশগুলিতে বহুদিন ধরেই আলোচনা চললেও, এদেশে এরকম কোনো কিছু নিয়ে ভেবে দেখা হয়নি। তবে এখন, কেন্দ্র সরকার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছে বলে সাম্প্রতিক খবরে দাবি করা হয়েছে। উপভোক্তা মন্ত্রকের সূত্রে জানা গিয়েছে যে, আগামী ১৭ই আগস্ট একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, যাতে কারিগরি শিল্প ও উপভোক্তা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মোবাইল নির্মাতা সংস্থাগুলিও অংশগ্রহণ করবে। আর এই বৈঠকে শুধু সাধারণ চার্জার নিয়েই আলোচনা হতে চলেছে বলে সূত্রের অভিমত।

ভারতের সমস্ত ডিভাইসের জন্য আসবে একটি ‘কমন’ চার্জার

বর্তমানে ভারতে সর্বাধিক জনপ্রিয় টাইপ-সি চার্জার; এছাড়া এই বাজারে মাইক্রো ইউএসবি এবং লাইটনিং চার্জারও (Apple-এর) দেখতে পাওয়া যায়। তবে আসন্ন দিনগুলিতে এই পরিচিত ছবি বদলাতে পারে। কারণ সরকার স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, ইয়ারবাডসহ বিভিন্ন প্রোডাক্টের জন্য একটি সাধারণ চার্জার আনার কথা ভাবছে। আসলে সম্প্রতি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউএসবি টাইপ-সি পোর্টকে একটি সাধারণ চার্জার হিসাবে গ্রহণ করার ঘোষণা করেছে। এর ফলে ২০২৪ সাল থেকে ইউরোপীয় দেশগুলিতে বিক্রি হওয়া সমস্ত ডিভাইস শুধুমাত্র টাইপ-সি পোর্ট সমর্থন করবে। অন্যদিকে আমেরিকাতেও এই একই ধরনের ঘোষণা করা হয়েছে।

সেক্ষেত্রে এই বিষয়ে ভারতের এক সরকারি আধিকারিক বলেছেন যে, যখন সমস্ত সংস্থা আমেরিকা এবং ইউরোপে একই ধরণের চার্জার সরবরাহ করতে পারে তাহলে এদেশে সেই একই নিয়ম কেন কার্যকরী হবে না। পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, সাধারণ চার্জার নিয়ে ভারত সরকারের কোনো চাপ না থাকলে আমেরিকা ও ইউরোপের সব চার্জার ভারতের বাজারে আনা হবে বলে ওই আধিকারিকের মত। তবে এই পরিবর্তনের সাথে কেন্দ্র বাজেট ফোনের বিক্রি ও স্মার্টফোনের মেরামতি সংক্রান্ত আরো দুটি নিয়ম জারি করতে পারে।

সব মিলিয়ে বলা যায় যে সরকার যদি একটি সাধারণ চার্জারের ব্যবস্থা করে, তাহলে মানুষ অনেকটাই স্বস্তি পাবে এবং তারা একই চার্জার থেকে একাধিক ডিভাইস চার্জ করতে পারবেন। পাশাপাশি একাধিক চার্জারের ব্যবহার বন্ধ করার মাধ্যমে দেশে ই-বর্জ্য অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে আশা করা যায়।