সরকারের নজরে Realme, চুপিচুপি ডেটা চুরির অভিযোগ, বন্ধ করুন এই সেটিংস

Avatar

Published on:

Modi Govt investigate Realme Smartphone for Data Stealing

এখন আমাদের জীবনের প্রতিটা মিনিটের সাথেই জড়িয়ে গেছে স্মার্টফোন। ফলত একদিকে যেমন এই খুদে ইলেকট্রনিক ডিভাইসটির মাধ্যমে নানাবিধ কাজ করা হয় ঠিক তেমনই এতে বিভিন্ন ধরণের ডেটা সংরক্ষিত থাকে। এই কারণে এখন স্মার্টফোন হ্যাকিং, ম্যালওয়্যার অ্যাটাকের মতো একাধিক অপ্রত্যাশিত বিপদ থেকে সাবধান থাকার প্রসঙ্গও এসে যায়। এমনকি বর্তমানে বারবার ইউজার ডেটা লিকের বিষয়েও নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। সেক্ষেত্রে আপনার স্মার্টফোনের ডেটা নিরাপদ কিনা, সেই নিয়ে আবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছে Realme! চীনা কোম্পানিগুলি নিজেদের দেশে ইউজার ডেটা সরবরাহ করছে, এমন অভিযোগ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বিশ্বের বহু জায়গা থেকেই উঠেছে। কিন্তু হালফিলের একটি টুইট নেটমাধ্যমে বেশ শোরগোল ফেলেছে, কারণ তাতে বাজারে ক্রমশ জনপ্রিয় হওয়া স্মার্টফোন কোম্পানি Realme-এর বিরুদ্ধে ইউজারদের ডেটা চুরির অভিযোগ উঠেছে।

ইউজারদের ডেটা চুরি করছে Realme? জেনে নিন গোটা ঘটনা

সম্প্রতি ঋষি বাগ্রি নামের এক টুইটার (Tweeter) ইউজার রিয়েলমির স্মার্টফোনগুলিতে থাকা ‘এনহ্যান্সড ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসেস’ (Enhanced Intelligent Services) নামে একটি ফিচার সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যা ডিভাইসের তথ্য, অ্যাপ ব্যবহারের পরিসংখ্যান এবং আরও অন্যান্য ইউজার ডেটা সংগ্রহ করে। বাগ্রির টুইট অনুযায়ী, ফিচারটি ডিফল্টরূপে ‘অন’ (On) থাকে এবং ইউজার ডেটা হিসেবে কল লগ, এসএমএস, লোকেশন ইত্যাদি ডেটা ক্যাপচার করে; ডিভাইসের সেটিংস (Settings) অ্যাপ খুলে ‘সিস্টেম সার্ভিস’ (System Service) সেকশনে গেলেই এই বিষয়ে তথ্য মেলে। সেক্ষেত্রে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, ভারতীয় স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের সম্মতি ছাড়াই তাদের ডেটা শেয়ার করার জন্য এভাবে ফিচারটির মাধ্যমে তাদের অন্ধকারে রাখা হয়৷ বাধ্যতামূলক বা ডিফল্ট ফিচার হওয়ায় এটিকে কোনোভাবে অফ বা নিষ্ক্রিয় করা যায়না।

ভাইরাল ওই টুইট পড়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর চোখে

‘এনহ্যান্সড ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসেস’ ফিচারটির মাধ্যমে সংগ্রহ করা ইউজার ডেটা, রিয়েলমি নিজের দেশ চীনে পাঠাতে ব্যবহার করতে পারে এমন সম্ভাবনার কথাও বাগ্রির ওই টুইটে আরও হাইলাইট করা হয়েছে। আর এই টুইটটি কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং তিনি গোটা বিষয়টি তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে বলা যায় যে শাওমি (Xiaomi), ওপ্পো (Oppo), ভিভো (Vivo)-র পর এবার সরকারের শ্যেনদৃষ্টিতে পড়তে চলেছে রিয়েলমিও।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কিছু প্ল্যাটফর্ম নতুন Realme 11 Pro+ ডিভাইসটি পরীক্ষা করে, বাগ্রি নির্দেশিত এনহ্যান্সড ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসেস ফিচারটি ডিফল্টরূপে সক্রিয় অবস্থায় খুঁজে পেয়েছে; যদিও কোম্পানির বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে তারা এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে ব্যাপারটা হচ্ছে যে, রিয়েলমির ফোনগুলিই একমাত্র নয় যেখানে এই ধরনের ফিচার রয়েছে, কার্যত রিয়েলমির মালিক বিবিকে (BBK) ইলেকট্রনিক্সের সমস্ত ফোনেই একই বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

একই দোষে দোষী Samsung-ও

জানিয়ে রাখি, ‘সেন্ড ডায়াগনস্টিক ডেটা’ (Send Diagnostic Data) নামে অনুরূপ একটি ফিচার Samsung Galaxy ফোনগুলিতেও ডিফল্টরূপে সক্রিয় রয়েছে। সেক্ষেত্রে এর থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, নন-চীনা স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলিও ইউজার ডেটা সংগ্রহের কাজ করে থাকে৷ কিন্তু মুশকিল এটাই যে, সংস্থাগুলি সংগৃহীত ডেটার সাথে কী করতে চায় তা স্পষ্ট নয়, তাই আগামীদিনে এই বিষয়ে স্বচ্ছতা প্রদান করা তাদের আশু কর্তব্য।

সঙ্গে থাকুন ➥