100 কিমি মাত্র 10 টাকায় ! নস্টালজিয়া উস্কে লঞ্চ হল Kinetic E-Luna, স্প্লেন্ডারের থেকেও কম দাম

নব্বইয়ের দশকে ভারতের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়ানো কাইনেটিক (Kinetic) সংস্থার তৈরি লুনা (Luna) মোপেডের কদর বহুজনের কাছে আজও সমান। সে সময় এই দু’চাকা গাড়িটিতে শব্দ সৃষ্টিকারী ইঞ্জিন থাকলেও এবার দৌড়বে নিঃশব্দে। কারণ দীর্ঘ ২৩ বছর পর ইলেকট্রিক অবতারে ধুমধাম করে ভারতের বাজারে কামব্যাক করেছে এটি। নতুন নাম E-Luna। মিলবে দুই ভ্যারিয়েন্টে – X1 ট্রিম ও X2 ট্রিম। কাইনেটিক গ্রীন (Kinetic Green) এদের দাম যথাক্রমে ৬৯,৯৯০ টাকা ও ৭৪,৯৯০ টাকা (এক্স-শোরুম) রেখেছে। ই-মোপেড হিসেবে যা বেশ সস্তা বলা যায়।

Kinetic E-Luna ভারতে লঞ্চ হল

নতুন Kinetic E-Luna সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে গড়ে তোলা হয়েছে। আমজনতার জন্য তৈরি এই মোপেড যাতে বেশি সংখ্যক ক্রেতার হাতের নাগালে পৌঁছায়, সে কথা বিবেচনা করে কম দাম রাখা হয়েছে। ডুয়েল টিউবুলার উচ্চ ক্ষমতার স্টিল চ্যাসিসের উপর ভর করে ছুটবে ই-লুনা। ফলে যে কোনো ধরনের রাস্তায় সাবলীলভাবে এগিয়ে চলতে পারবে। ব্যক্তিগত দরকারে হোক বা বাণিজ্যিক – উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহারের উপযোগী এটি। ডিজাইন নব্বইয়ের দশকের স্মৃতি ফেরাবে।

প্রয়োজনে যাতে পণ্য বহন করা যায় সেজন্য ইলেকট্রিক লুনার পেছনের সিট খোলার ব্যবস্থা রয়েছে। কোম্পানি জানিয়েছে এটি ১৫০ কেজি ওজন নিয়ে দৌড়াতে সক্ষম। এগিয়ে চলার শক্তি জোগাতে এতে উপস্থিত একটি ২ কিলোওয়াট আওয়ার লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি প্যাক, যা সম্পূর্ণ চার্জে ১১০ কিলোমিটার (পরীক্ষিত রেঞ্জ) পথ ছুটতে পারবে বলে দাবি কাইনেটিক গ্রীনের। পরবর্তীতে ১.৭ এবং ৩ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাক অপশনও লঞ্চের প্ল্যান করছে সংস্থা। সবচেয়ে শক্তিশালী ৩ কিলোওয়াট আওয়ার মডেলটি ফুল চার্জে ১৫০ কিলোমিটার পথ ছুটতে পারবে।

ছোট শহরের পাশাপাশি গ্রামের দিকে লুনা বেশ জনপ্রিয় হবে বলে মনে করছে সংস্থা। এটি পাঁচটি রঙের বিকল্পে পাওয়া যায় – লাল, নীল, হলুদ, সবুজ এবং কালো। বডি প্যানেলগুলি সম্পূর্ণ-কালো, শুধুমাত্র শরীর জুড়ে থাকা পাতলা ধাতব টিউবে ভিন্ন ভিন্ন রং দেখা যাবে।। ১ কিমি চালতে মাত্র ১০ পয়সার বিদ্যুৎ খরচ হবে বলে দাবি সংস্থার। বুক করতে মাত্র ৫০০ টাকা লাগবে। এটি অনলাইনে ফ্লিপকার্ট বা অ্যামাজন থেকেও কেনা যাবে। আবার কেবল ২,০০০ টাকার মাসিক কিস্তিতেও বাড়ি আনা যাবে।

কাইনেটিক ই-লুনা ২.২ কিলোওয়াট বিএলডিসি হাব মোটরের সঙ্গে এসেছে। যা প্রতি ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতিবেগ তুলতে সাহায্য করবে। কোম্পানি সূত্রে জানানো হয়েছে, ব্যাটারি, মোটর ও কন্ট্রোলার প্রতিটিই IP67 রেটিং প্রাপ্ত, তাই নির্দিষ্ট সময পর্যন্ত জলের মধ্যে থাকলেও ক্ষতি হবে না। ব্যাটারি চার ঘন্টার মধ্যে পুরো চার্জ হয়ে যাবে।

ছিমছাম চেহারা হলেও লুনা ইলেকট্রিক ফিচার্সে খুব একটা পিছিয়ে নেই। রিয়েল টাইম DTE ইন্ডিকেটর সহ ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল দেওয়া হয়েছে এতে। অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আছে কম্বি ব্রেকিং, ইউএসবি চার্জিং পোর্ট, তিনটি রাইডিং মোড এবং সাইড স্ট্যান্ড সেন্সর। টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট ফর্ক এবং ১৬ ইঞ্চি ওয়্যার স্পোক হুইলে ভর করে ছুটবে Kinetic E-Luna।