একবার কিনলে চলবে বছরের পর বছর, Hero Splendor এর ব্লুটুথ ভার্সন কেনার আগে যে সব বিষয় জেনে রাখা জরুরী

ভারতের দুই চাকার বাজারে দীর্ঘ সময় ধরেই প্রথম স্থান ধরে রেখেছে হিরো মটোকর্প (Hero MotoCorp)। মূলত ছোট ইঞ্জিন যুক্ত কমিউটার সেগমেন্টের বাইকের দৌলতেই এমন সুনাম করতে পেরেছে তারা। এই দেশীয় সংস্থার পোর্টফলিয়তে থাকা দুই চাকার মডেলগুলির মধ্যে স্প্লেন্ডার সিরিজের বাইকগুলি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এযাবৎকাল পর্যন্ত। ১০০ সিসি এবং ১২৫ সিসি এই দুই ধরনের ইঞ্জিন যুক্ত মডেল দেখতে পাওয়া যায় এই সিরিজের মধ্যে। সবমিলিয়ে মোট ভ্যারিয়েন্ট সংখ্যা চার। এরমধ্যে ১০০ সিসির সেগমেন্টে থাকা মডেল দুটি হল স্প্লেন্ডার প্লাস এবং স্প্লেন্ডার প্লাস এক্সটেক।

হিরোর তৈরি এন্ট্রি লেভেলের এই বাইকের খানিকটা উন্নত সংস্করণ হল স্প্লেন্ডার প্লাস এক্সটেক। বাইকটির এক্স শোরুম মূল্য ৭৩,৩৪৬ টাকা। স্প্লেন্ডার প্লাস এর এই এক্স টেক ভার্সনের বাইকটি কেনার আগে জেনে নিন তার সমস্ত খুঁটিনাটি।

Hero Splendor Plus Xtec: ডিজাইন
ব্যবহারিক সুবিধার কথা মাথায় রেখে স্পেন্ডার প্লাস এক্সটেকের ডিজাইন অনেক বেশি বাস্তবসম্মত। এলইডি হেডলাইট এবং নতুন আপডেটেড ভাইজার লাগানো হয়েছে এতে। গ্লস ব্ল্যাক, ক্যান্ডি ব্লেজিং রেড এবং ম্যাট অ্যাক্সিস গ্রে এই তিনটি রঙে উপলব্ধ এটি। বডি কালারের সঙ্গে মিলিয়ে বাইকটির অ্যালয় হইলে এক বিশেষ ধরনের টেপ লাগানো রয়েছে যা যথেষ্ট আকর্ষণীয়।

Hero Splendor Plus Xtec: ফিচার
স্প্লেন্ডার প্লাস এক্সটেক সংস্করণে সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার ব্যবহার করা হয়েছে। লো ফুয়েল ইন্ডিকেটর, রিয়েল টাইম মাইলেজ ইন্ডিকেটর, সাইড স্ট্যান্ড ইঞ্জিন কাট অফ এই সমস্ত ফিচারগুলি উপলব্ধ এতে। এমনকি ইন্সট্রুমেন্ট কনসলের সঙ্গে ব্লুটুথ সংযুক্তিকরণ এর মাধ্যমে কল এবং এসএমএস এলার্ট পাওয়া সম্ভব।

Hero Splendor Plus Xtec: ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন
প্রতিদিনের ব্যবহারের উপযোগী শক্তিশালী ইঞ্জিন এতে ব্যবহার করা হয়েছে। স্প্লেন্ডার প্লাস এক্সটেক বাইকটিতে চালিকাশক্তি যোগায় ৯৭.২ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার সমৃদ্ধ ইঞ্জিন। ৮,০০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ৭.৯১ এইচপি শক্তি এবং ৬,০০০ আরপিএম গতিতে সর্বাধিক ৮.০৫ এনএম টর্ক উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে এই ইঞ্জিনের। এর সঙ্গে সংযুক্ত ট্রান্সমিশন সিস্টেমে গিয়ারের সংখ্যা পাঁচ। এছাড়াও পর্যাপ্ত মাইলেজ পাওয়ার জন্য বাইকটিতে অ্যাডভান্সড ফুয়েল ইনজেকশন প্রযুক্তি দেওয়া হয়েছে।

Hero Splendor Plus Xtec: ব্রেক এবং সাসপেনশন
বাইকটির উভয় চাকাতেই চিরাচরিত ড্রাম ব্রেকের ব্যবহার নজরে আসে। সামনে এবং পিছনে ১৩০ মিমি ড্রাম ব্রেক লাগানো রয়েছে। তবে রাইডারের সুরক্ষার জন্য ইন্ট্রিগ্রেটেড ব্রেকিং সিস্টেম উপলব্ধ এতে। অন্যদিকে সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলাতে বাইকটির সামনের দিকে সাধারণ টেলিস্কোপিক হাইড্রোলিক শক অ্যাবজর্ভার লাগানো থাকলেও পিছনের দিকে রয়েছে পাঁচ ধাপযুক্ত ডুয়েল ব্যারেল হাইড্রোলিক শক অ্যাবজর্ভার।