Xiaomi, Samsung সব জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ব্যবহৃত ফোন ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টে বিক্রি করছে MTS, কোথায়?

একটানা যুদ্ধের আবহে রাশিয়ায় ব্যবহৃত ও ফিরিয়ে দেওয়া স্মার্টফোন বিক্রি শুরু করলো সেদেশের বৃহত্তম অপারেটর সংস্থা এমটিএস (MTS)। গতকাল রুশ মোবাইল অপারেটরটির তরফ থেকেই উক্ত সংবাদ জনসমক্ষে আনা হয়। মুদ্রাস্ফীতির কবল এড়িয়ে নাগরিকদের সস্তা দরে স্মার্টফোন কিনতে তাদের এই উদ্যোগ সহায়তা করবে বলে MTS জানিয়েছে। ইতিমধ্যে রাশিয়ায় আংশিকভাবে হলেও MTS ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কম দামে ব্যবহৃত পুরনো স্মার্টফোন বিক্রি শুরু করেছে, যা যুদ্ধ ও মুদ্রাস্ফীতির বাজারে রুশ ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে অনেকাংশে তৈরী।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর অ্যাপল (Apple) -এর মতো পশ্চিমী ব্র্যান্ড রাশিয়ায় স্মার্টফোন বিক্রির প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছে। এমতাবস্থায় সেখানে চীনা ব্র্যান্ডের ডিভাইস বিক্রি দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চের প্রথম দুই সপ্তাহে বাজার থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান বিশ্লেষণের পর স্থানীয় (রুশ) সংবাদপত্রে এহেন তথ্য উঠে এসেছে।

Huawei, Honor, Xiaomi, Samsung সহ আরও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ব্যবহৃত স্মার্টফোনে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ছাড় দেবে MTS

জানিয়ে রাখি, বর্তমানে এমটিএস রাশিয়ার বাজারে Huawei, Honor, Xiaomi -এর মতো চিনা ব্র্যান্ডের পাশাপাশি দঃ কোরিয় Samsung -এর ব্যবহারোপযোগী পুরনো ডিভাইস বিক্রি শুরু করেছে। এক্ষেত্রে রুশ ক্রেতারা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে শেষোক্ত ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন সংগ্রহ করতে পারবেন। অনলাইনে বা মস্কোয় অবস্থিত এমটিএস স্টোর থেকে তাদের পক্ষে পছন্দ অনুযায়ী স্মার্টফোন কেনা সম্ভব হবে।

সংস্থার নয়া ব্যবসায়িক উদ্যোগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে এমটিএসের (MTS) রিটেইল নেটওয়ার্ক ডেভলপমেন্ট প্রধান পাভেল সুখভারভের বক্তব্য, এই মুহূর্তে যে সুযোগ তারা জনতাকে দিচ্ছেন তার লাভ উঠিয়ে একজন ক্রেতার পক্ষে অত্যন্ত সস্তা দামে উন্নত গ্যাজেট সংগ্রহ করা কোনও ব্যাপার নয়। মুদ্রাস্ফীতির মাত্রা যখন ১৭ শতাংশ ছাড়িয়েছে সেসময় তাদের এই অফার যে স্মার্টফোন ক্রেতাদের যথেষ্ট স্বস্তি দেবে সে কথাও পাভেল তার বক্তব্যে জানিয়েছেন।

এছাড়াও বলে রাখা দরকার যে বর্তমানে পুরনো বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে এমটিএস ক্রেতাদের মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়া বা মামুলি প্যাকেজিং ত্রুটি-সম্পন্ন হ্যান্ডসেট সংগ্রহের সুযোগ দিচ্ছে। এগুলি সম্পূর্ণ ৯০ দিনের ওয়ারেন্টি সহ আসবে বলে সংস্থার বক্তব্য।