টিকটকের কাজকর্ম খতিয়ে দেখছে অস্ট্রেলিয়া সরকার, অসঙ্গতি মিললে ব্যান

জাতীয় নিরাপত্তের কারণে ভারতে স্বল্প দৈঘ্যের ভিডিও প্ল্যাটফর্ম, Tiktok ব্যান হয়েছে কয়েক সপ্তাহ হল। এরপরে অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকাতেও এই অ্যাপকে ব্যান করা হবে বলে জানা গিয়েছিল। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সরকারী সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, এই অ্যাপটি ব্যবহারে কোনো ঝুঁকি আছে কিনা অর্থাৎ ইউজারের তথ্য কোনো তৃতীয় পক্ষের হাতে পড়ছে কিনা সেবিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং অ্যাটর্নি-জেনারেলরা এখন টিকটকের কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করছে। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, সরকার টিকটককে কড়া নজরে রেখেছে । এবিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিলে তাঁরা অবশ্যই সেটি সংবাদমাধ্যমকে জানাবেন।

আবার, বিদেশী হস্তক্ষেপের বিষয়ে সংসদীয় তদন্তের মহিলা প্রধান লেবর সিনেটর জেনি ম্যাকএলিস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, ১.৬ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়া তরুণ টিকটক ব্যবহার করেন। এই অ্যাপ্লিকেশনটি সম্পর্কে যেসব অভিযোগ উঠছে তা যাচাই করা দরকার। প্ল্যাটফর্মে সংযত মানের কন্টেন্টের প্রয়োজন আছে।

ইতিমধ্যেই ভারতে নিষেধাজ্ঞা জুটেছে টিকটকের, যুক্তরাষ্ট্রের রোষেও পড়েছে অ্যাপটি। এখন দেখার বিষয় এটাই, অস্ট্রেলিয়ায় টিকটকের ভাগ্যে কী নির্ধারিত হয়।