Vivo BlueOS: অ্যান্ড্রয়েড-কে বিদায়, ভিভো আনল নিজস্ব ব্লুওএস অপারেটিং সিস্টেম

সেলফ-ডেভলপড BlueOS অপারেটিং সিস্টেম লঞ্চ করল Vivo

Vivo আজ তাদের প্রথম সেলফ-ডেভলপড অপারেটিং সিস্টেম BlueOS -এর ঘোষণা করল। সংস্থাটি চলতি বছরে অনুষ্ঠিত ‘ভিভো ডেভেলপার কনফারেন্স ২০২৩’ চলাকালীন প্রথম এই অপারেটিং সিস্টেম চালু করার কথা প্রকাশ্যে আনে। একই সাথে তৎকালীন সময়ে সংস্থাটি জানায় যে, তারা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ইকোসিস্টেমের সীমাবদ্ধতা দূর করার উদ্দেশ্যে ২০১৮ সালে BlueOS ডেভলপের কাজ শুরু করেছিল। Vivo BlueOS -এর অন্যতম বিশেষত্ব হল এটি রাস্ট প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ভিত্তিক বিশ্বের প্রথম অপারেটিং সিস্টেম।

সেলফ-ডেভলপড BlueOS অপারেটিং সিস্টেম লঞ্চ করল Vivo

ভিভো BlueOS অপারেটিং সিস্টেম মূলত তিনটি বিষয়ের উপর অধিক ফোকাস করেছে, এগুলি হল- ইউজার ডেটা সেফটি, স্মার্ট ইন্টারঅ্যাকশন এবং স্মুথ ইউজার এক্সপিরিয়েন্স। সংস্থার বিবৃতি অনুসারে, এই নয়া অপারেটিং সিস্টেমটি মাল্টি-মডেল ইন্টারঅ্যাকশন এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি বা এআই মডেলের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। যার দরুন এটি – ভয়েস, ইমেজ, টেক্সট, ভিডিও, জেসচার, সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ, এমনকি ব্রেনওয়েভ ভিত্তিক প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম। এছাড়া BlueOS ব্যবহারকারীদের – স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোড লিখতে, কাস্টমাইজড হোম স্ক্রিন, ওয়ালপেপার, থিম চয়ন করা সহ আরও বিভিন্ন প্রকারের কাজ করার অনুমতি দেয়।

ভিভো বিকশিত ব্লুওএস স্কিনের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ফিচার হল, ব্লুএক্সলিংক (BlueXlink) কানেকশন প্রোটোকল। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, “এই প্রোটোকল ইন্ডাস্ট্রি-গ্রেড প্রোটোকলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ডিস্ট্রিবিউটেড ডিজাইন কনসেপ্ট সাপোর্ট করে।” আরো সহজ করে বললে, এই প্রোটোকলের সাহায্যে ব্লুওএস নিরাপদে এবং অবাধে একাধিক ডিভাইসের মধ্যে ডেটা স্থানান্তর করতে পারবে। পাশাপাশি এই নয়া ওএস – স্মার্ট হোম, স্মার্ট অফিস এবং স্মার্ট ট্রাভেল বিকল্পের অ্যাক্সেসও প্রদান করে।

ব্লুওএস অপারেটিং সিস্টেমকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে এটি, ৩২ এমবি র‍্যাম সমর্থিত ২০০ মেগাহার্টজ প্রসেসর থেকে শুরু করে ২৪ এমবি র‍্যাম যুক্ত ৪ গিগাহার্টজ প্রসেসর সমন্বিত বিভিন্ন প্রকারের ডিভাইসে রান করতে পারে। যেকারণে এই ওএস স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সের পাশাপাশি স্মার্ট ওয়্যারেবল ডিভাইসেও রান করতে সমর্থ৷

আর উন্নত পারফরম্যান্স ও ইউজার এক্সপিরিয়েন্স প্রদানের জন্য, ব্লুওএস ৪৮% বুস্টেড রেন্ডারিং এফিসিয়েন্সি এবং ৬৭% হ্রাসপ্রাপ্ত মেমরি কনসাম্পশন সহ এসেছে। উপরন্তু, এতে সিস্টেম রেস্পন্স স্পিড বাড়াতে ১৮% পর্যন্ত সুপার কোরোটিন মেকানিজম ফিচার সাপোর্ট করে। আবার ইউজারদের ডেটা সুরক্ষিত রাখতে, এই নয়া অপারেটিং সিস্টেম রাস্ট ল্যাঙ্গুয়েজ-ভিত্তিক সিস্টেম ফ্রেমওয়ার্ক অফার করে বলে জানিয়েছে ভিভো। এই বৈশিষ্ট্যটি সিস্টেমের সিকিউরিটি-সংক্রান্ত দুর্বলতা (vulnerability) কমাতে সাহায্য করে।

ভিভো আরো জানিয়েছে যে, নয়া ব্লুওএস চালিত সর্বপ্রথম ডিভাইস হবে Vivo Watch 3। আসন্ন এই স্মার্টওয়াচ Vivo X100 স্মার্টফোন সিরিজের সাথেই আগামী ১৩ই নভেম্বর লঞ্চ হবে। এতে – অটোমেটিক ওয়াচ ফেস, এনএফসি কার কী, অ্যাক্সেস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট কার্ড সাপোর্ট সহ আরও নানাবিধ উল্লেখযোগ্য ফিচার পাওয়া যাবে বলে জানা যাচ্ছে।