RBI: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের চরম সর্তকতা, ৬০০-র বেশি লোন অ্যাপ থেকে সাবধান

বর্তমান সময়ে অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমের পাশাপাশি অনলাইন লোন অ্যাপ্লিকেশনগুলিরও ব্যবহার বেশ বেড়েছে। যদিও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ RBI, বারংবার এই জাতীয় প্ল্যাটফর্মের থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে আসছে; এমনকি বিভিন্ন অনলাইন লোন অ্যাপ্লিকেশনকে বিধিনিয়মে আবদ্ধ করার চেষ্টা করছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটি। এরপরও গ্রাহক প্রতারণা বা অনলাইন জালিয়াতির সাথে নাম জড়াল ছয় শতাধিক লোন অ্যাপ্লিকেশনের নাম! হ্যাঁ ১০০ বা ২০০ নয়, বরঞ্চ ভারতে ৬০০টিরও বেশি অবৈধ অনলাইন লোন অ্যাপ উপলব্ধ রয়েছে বলে সম্প্রতি RBI (আরবিআই)-এর ওয়ার্কিং গ্রুপ (WG) তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। গ্রুপটির মতে, এর মধ্যে বেশিরভাগই সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করতে ব্যবহৃত হয়।

WG খুঁজে পেয়েছে হাজারের বেশি লোন অ্যাপ্লিকেশন

ডিজিটাল লোনের ওপর বিশদ রিপোর্ট প্রস্তুত করতে গিয়ে আরবিআইয়ের শাখাটি ১,১০০টিরও বেশি অনন্য লোন অ্যাপের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে ফেব্রুয়ারি মাস অবধি সময়ে ৮১টি ভিন্ন অ্যাপ স্টোর জুড়ে এগুলি উপলব্ধ ছিল বলে একটি সমীক্ষার দরুন জানা গিয়েছে। এখনও, অ্যাপ স্টোরগুলিতে ‘ইনস্ট্যান্ট লোন,’ কুইক লোন’ ইত্যাদি শব্দ বা কীওয়ার্ড ব্যবহার করে সার্চ করলে সহজেই এই লোন বা ঋণ অ্যাপগুলির সন্ধান পাওয়া যায়।

সেক্ষেত্রে আরবিআই প্যানেল উল্লেখ করেছে যে, জনসাধারণের অভিযোগ নথিভুক্ত করার জন্য উপলব্ধ স্টেট লেভেল কোঅর্ডিনেশন কমিটি (SLCC) মেকানিজমের অধীনস্থ এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি পোর্টাল, ডিজিটাল লোন অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় প্রতারণার অভিযোগ পেয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে এই বছরের মার্চ মাস অবধি প্রায় ২,৫৬২টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বেশিরভাগ অভিযোগ এসেছে মহারাষ্ট্র থেকে, তবে কর্ণাটক, দিল্লি, হরিয়ানা, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু এবং গুজরাট থেকেও অভিযোগ রেজিস্টার্ড হয়েছে।

অসাবধানতার কারণেই ভুয়ো লোন অ্যাপের শিকার সাধারণ মানুষ

ওয়ার্কি গ্রুপ বলেছে, অধিকাংশ অভিযোগে যে সমস্ত সংস্থার নাম করা হয়েছে সেগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বা অনুমোদনপ্রাপ্ত তো নয়ই, পাশাপাশি সেগুলি NBFCs (নন-ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানি) বা অসংগঠিত সংস্থা। প্রয়োজনে এবং সহজে ঋণ পাওয়ার আশায় অনেকেই অসতর্ক হয়ে এইসব অ্যাপ্লিকেশনের ফাঁদে পড়ছেন এবং আধার, প্যান জাতীয় তথ্য এগুলিতে দিয়ে দিচ্ছেন বলে রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অস্বস্তির বিষয় এটাই যে, বারবার সাবধানবাণী করলেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই ধরণের অ্যাপ্লিকেশনের কোনো তালিকা সামনে আনেনি।