Volkswagon, Nissan-দের স্থানচ্যুত করার পথে এগিয়ে গেল Tesla, আগস্টে ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি 105% বাড়ল

বছরের প্রথমার্ধে বিক্রির নিরিখে সম্প্রতি ‘বিশ্বের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক গাড়ি সংস্থা’র তকমা টেসলা (Tesla)-র থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে চীনা সংস্থা বিল্ড ইউর ড্রিমস বা বিওয়াইডি (BYD)। কিন্তু গাড়ি বিক্রিতে বিনা যুদ্ধে এক সূচাগ্র মেদিনী দিতে নারাজ ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা। তাও যদি হয় নিজের দেশে, তবে তো কথাই নেই। হ্যাঁ, আমেরিকার কথাই বলা হচ্ছে। আগস্টে টেসলা নিজের জন্মস্থানে ৪৭,৬২৯টি ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি করেছে। তুলনাস্বরূপ ২০২১-এর ওইসময়ে যার সংখ্যা ছিল ২৩,১৪০ ইউনিট। ফলে সংস্থার বিক্রিতে ১০৫.৮% অগ্রগতি ঘটেছে।

আবার জুলাইয়ের চেয়ে গত মাসে বেশি গাড়ি বিক্রি হয়েছে টেসলার। আর এতেই একধাক্কায় মার্কেট শেয়ার বেড়ে হয়েছে ৪.১%। ২০২১-এ যা ছিল ২.১%। এই উত্থানের ফলে স্পেসএক্সের মালিকের সংস্থা Nissan ও Volkswagen-এর ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে।

যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টেসলার মার্কেট শেয়ার জেনারেল মোটরস (General Motors – ১৬.৪%) অথবা টয়োটা (Toyota – ১৪.৮%)-র তুলনায় অনেকটাই পেছনে। তবে টেসলার বাড়বাড়ন্ত কেবল আমেরিকার বাজারেই সীমাবদ্ধ নেই। অস্ট্রেলিয়াতেও এদের ব্যবসার গতি চোখে পড়ার মতো। সেদেশে আগস্টে টয়োটা ক্যামরিদের পেছনে ফেলে চতুর্থ সর্বাধিক বিক্রীত গাড়ির সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

গত মাসে চীনে টেসলা রেকর্ড পরিমাণ গাড়ি বিক্রি করেছে। Model 3 ও Model Y মিলিয়ে ৭৭,০০০ ইউনিট বিক্রি করেছে তারা। এই দুটি মডেল ইউরোপের বাজারেও ক্রেতাদের হৃদয় জিতে নিয়েছে। সেখানে আইসিই মডেলের মার্কেট শেয়ার ৭ শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছে গাড়ি দুটি। লকডাউনের পর সাংঘাইয়ের গিগাফ্যাক্টরির উৎপাদন পুনরায় পূর্ণ উদ্যমে শুরু হয়েছে। অন্যদিকে গিগা বার্লিনের কারখানাতেও উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। এই দুই কারখানা থেকেই ইউরোপের বাজারে গাড়ি সরবরাহ করে টেসলা।