Lionel Messi: PSG ক্লাবে ওয়েলকাম বোনাস হিসেবে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার ‘ফ্যান টোকেন’ পাচ্ছে মেসি

এই মুহূর্তে ফুটবল দুনিয়ায় সবথেকে আলোচিত ক্লাবের নাম প্যারিস সাঁ জার্মা (PSG)। ট্রান্সফার উইন্ডোতে বড়োসড়ো চমক ঘটিয়ে এই ক্লাব চলতি মরশুমের জন্য বার্সেলোনার মহাতারকা লিওনেল মেসিকে (Lionel Messi) সই করিয়ে নিয়েছে! ফলে কেরিয়ারে এই প্রথমবার মেসির গায়ে আলাদা ক্লাবের জার্সি উঠতে চলেছে। ব্যাপারটা নিয়ে ফুটবল মহল যতটা তোলপাড়, প্রযুক্তিপ্রেমীরাও ঠিক ততটাই আলোড়িত। কেন, সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্যেই আমাদের এই প্রতিবেদন।

আসলে পিএসজির (PSG) সঙ্গে চুক্তির ফলে পারিশ্রমিক হিসেবে লিওনেল মেসি যে পরিমাণ অর্থ পাবেন, তার একটা বড় অংশ তাকে ‘ফ্যান টোকেন’ মারফত পরিশোধ করা হবে। এই ফ্যান টোকেন আর কিছুই নয় বরং এক ধরনের নন ফাংগিবল টোকেন (এনএফটি/NFT), ডিজিটাল দুনিয়ায় যার মূল্য বর্তমানে উর্ধ্বমুখী। ক্রিপ্টোকারেন্সির মতোই ফ্যান টোকেনের মাধ্যমে সমর্থকেরা ক্লাবের প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারেন। বার্সেলোনা, পিএসজি, জুভেন্তাস, আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার সিটি-র মতো ইউরোপের ক্লাবগুলি এবার নিজস্ব ফ্যান টোকেন লঞ্চ করেছে।

ডিজিটাল দুনিয়ার নতুন সম্পদ ‘ফ্যান টোকেন’, বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে চমৎকার। এদের ব্যবহার করে ক্লাবগুলি মুনাফার সম্পূর্ণ নতুন উপায় খুঁজে বের করছে। ফ্যান টোকেন বিক্রি করে, এর নিজস্ব মূল্যকে ব্যবহার করে ক্লাবেরা নিজেদের আয় বাড়ানোর কথা ভাবছে। নগদ টাকা ব্যবহার করে সমর্থকদের এগুলি কিনতে হবে। এর বদলে তারা ক্লাবের নানান ভালোমন্দ সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

সুতরাং মেসির চুক্তির একটা বড় অঙ্ক পরিশোধের জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যম বেছে নেওয়ার মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নেই। ‘ওয়েলকাম প্যাকেজ’ হিসেবে যে অর্থ ক্লাব মেসির হাতে তুলে দিয়েছে, তার মধ্যে ফ্যান টোকেনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ক্লাবের পক্ষ থেকে মেসিকে প্রায় ২৫-৩০ মিলিয়ন ইউরো (২১৮-২৬১ কোটি টাকা) ট্রান্সফার খরচ হিসেবে ফ্যান টোকেনের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে! এছাড়া অন্যান্য খেলোয়াড়দের বেতন দেওয়ার জন্যেও ক্লাবেরা এর ব্যবহার করবে বলে শোনা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, মেসির সঙ্গে চুক্তির পর পিএসজি’র ফ্যান টোকেনের দাম ইতিমধ্যেই উপরের দিকে চড়তে শুরু করেছে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন