BLive নতুন শোরুম চালু করল, এবার এক দোকানেই নানা সংস্থার ইলেকট্রিক স্কুটার, বাইক

পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশা পূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে প্রযুক্তির দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে। বিশেষত নবীন পট্টনায়কের দৌলতে এই রাজ্য বৈদ্যুতিক যানবাহনের প্রসার ঘটিয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। বিভিন্ন ইভি নির্মাণকারী সংস্থার একাধিক শোরুম রয়েছে ওড়িশার নানা প্রান্তে। সেই তালিকায় এবার নতুন সংযোজন BLive EV স্টোর। সম্প্রতি ওড়িশার রৌডরকেল্লায় তাদের প্রথম শোরুম চালু করল এই সংস্থা।

BLive EV স্টোরের প্রসঙ্গে বলতে গেলে এটি একটি মাল্টি ব্র্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার। অর্থাৎ বিভিন্ন সংস্থার ইলেকট্রিক ভেহিকেল রয়েছে তাদের এই শোরুমে। উপরন্তু গ্রাহকদের এক্সপার্ট সাপোর্ট প্রদান করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের আকর্ষক অফার ও সহজে ফিনান্সের সুবিধা মিলবে এই স্টোরে। কোনো ক্রেতা প্রয়োজনে প্রতি মাসে মাত্র ২০০০ টাকা কিস্তি দিয়ে কিনতে পারেন ইলেকট্রিক স্কুটার, সাইকেল, মোটরসাইকেল এবং ডেলিভারি সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত যানবাহন।

সারা দেশ জুড়ে BLive EV ফ্র্যাঞ্চাইজিরর মোট ২০টি নিজস্ব স্টোর রয়েছে। এর পাশাপাশি অন্তত ২,৫০০টির বেশি পরিবার ও ব্যবসাকে বৈদ্যুতিকরণের সাহায্য করেছে তারা। তাদের প্রতিটি শোরুমে রয়েছে Kinetic Green, Hero Lector, LML- Detel, Batt:re, Gemopia, Techo Electra, E-Motorrad-র মত এদেশের প্রথম সারির নির্মাতাদের তৈরি মডেল। গ্রাহকেরা এই শোরুম থেকে Batt:re Story-র তৈরি করা উচ্চগতি সম্পন্ন স্টাইলিশ লুকের ইলেকট্রিক ভেইকেল প্রত্যক্ষ করতে পারবেন।

বিলাইভের সহকারি প্রতিষ্ঠাতা ও মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক সামর্থ খোলকার নতুন শোরুম উদ্বোধন প্রসঙ্গে বলেন, “রৌরকেল্লাতে প্রথম স্টোর উদ্বোধনের মাধ্যমে ওড়িশাতে পদার্পণ করতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত। এই স্টোর থেকে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা তাদের পছন্দের ব্যাটারী চালিত মডেলটি চালিয়ে পরখ করে তারপর কেনার সুযোগ পাবেন। এমনকি প্রয়োজনে এই স্টোর থেকে গ্রাহকদের বাড়িতেও ডেমো দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আকর্ষণীয় অফারের পাশাপাশি ইজি ফিনান্স উপলব্ধ রয়েছে এখানে। আগামীতে পরিবেশবান্ধব এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক পরিবহন ব্যবস্থা তৈরীর লক্ষ্যে সমস্ত গ্রাহকদের সাহায্য করার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”

প্রসঙ্গত ওড়িশার সর্বত্র ব্যাটারিচালিত যানবাহনের প্রসার ঘটাতে সেখানকার রাজ্য সরকার গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই ইভি পলিসি চালু করেছিল। এই নীতি অনুযায়ী সমস্ত ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি-ঘোড়ার জন্য ১৫% পর্যন্ত সাবসিডি দেয় রাজ্য সরকার। টু-হুইলারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা, থ্রি-হুইলারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা এবং চার চাকার ক্ষেত্রে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি মেলে সরকারের এই স্কিমে। আগামী ২০২৫ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত চালু থাকবে প্রকল্পটি। উপরন্তু সমস্ত ধরনের ইলেকট্রিক ভেহিকেলের উপর রেজিস্ট্রেশন ফি এবং মোটর ভেহিকেল ট্যাক্সেও ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে পট্টনায়ক সরকার।