Mobile Subsidy: স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়া উচিত, মত প্রকাশ করলেন মুকেশ আম্বানি

গত ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে মোবাইল ইন্ডিয়া কংগ্রেস ২০২১ ইভেন্ট, যা আজ অর্থাৎ ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। মোবাইল ইন্ডিয়া কংগ্রেস ২০২১-এ টেলিকম মন্ত্রী সহ টেলিকম সেক্টরের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছেন। এই ইভেন্টে দেশের সর্বস্তরের মানুষের উন্নতি তথা আর্থসামাজিক অগ্রগতির জন্য টেলিকম পরিষেবা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর বিশদে আলোকপাত করলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম কোম্পানি রিলায়েন্স জিও-র মালিক মুকেশ আম্বানি।

দেশের সর্বস্তরের মানুষ যাতে ভালোভাবে টেলিকম সার্ভিস পেতে পারে, তার ওপর সর্বদাই নজর রেখেছে সংস্থাটি। এবং দেশে ডিজিটাল বিপ্লব আনার জন্য অর্থাৎ দেশের মানুষকে ২জি থেকে ৪জি সার্ভিসে আপগ্রেড করতে খুব সম্প্রতি দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা চালিত সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোনও লঞ্চ করেছে জিও। এবার এই ইভেন্টে আরও উন্নত সার্ভিস প্রদানের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করলেন মুকেশ আম্বানি।

মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়া উচিত

মুকেশ আম্বানি সাশ্রয়ী মূল্যে মোবাইল কেনার জন্য ভর্তুকি দাবি করেছেন। ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস ২০২১-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুকেশ আম্বানি বলেন, মোবাইল ফোন কেনার ক্ষেত্রে অভাবী গ্রাহকদের ইউনিভার্সাল সার্ভিস অব্লিগেশন (USO) ফান্ড থেকে ভর্তুকি দেওয়া উচিত। তাঁর মতে, দেশে ডিজিটাল বিপ্লব আনার জন্য অভাবী মানুষদের সাশ্রয়ী মূল্যে পরিষেবা এবং ডিভাইস সরবরাহ করা উচিত।

৫জি রোলআউট জিও-র প্রথম অগ্রাধিকার 

মুকেশ আম্বানি জানিয়েছেন যে, দেশে ৫জি রোলআউট করা জিও-র প্রথম অগ্রাধিকার। ৫জি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মুকেশ আম্বানি বলেন, “আমরা এমনভাবে ৫জি সার্ভিস ডিজাইন করছি, যা সম্পূর্ণভাবে ক্লাউড নেটিভ, ডিজিটাল ম্যানেজড এবং ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি, যাতে গ্রাহকরা খুব সহজেই ৪জি থেকে ৫জি-তে স্থানান্তরিত হতে পারে।”

ডিজিটাল গ্রোথের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোন অপরিহার্য 

মুকেশ আম্বানির মতে, “ভারতের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ২জি থেকে ৪জি এবং তারপরে ৫জি-তে আপগ্রেড করা উচিত। কোটি কোটি দরিদ্র গ্রাহক এখনও ২জি পরিষেবার মধ্যে সীমাবদ্ধ, যা দেশে ডিজিটাল বিপ্লব আনার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করছে। কোভিড পরিস্থিতিতে আমরা দেখেছি যে যখন সবকিছু বন্ধ ছিল, তখন ইন্টারনেট এবং মোবাইলই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছিল। উন্নত প্রযুক্তি আমাদের জীবন এবং কর্মসংস্থানের জন্য এখনকার দিনে অপরিহার্য। তাই দেশের সর্বস্তরের মানুষকে এই সকল সুবিধা প্রদানের জন্য সস্তায় টেলিকম পরিষেবা প্রদানের পাশাপাশি সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোনও দিতে হবে।”