Electric Scooter Fire: ব্যাটারিতে আগুন ধরে পুড়ে ছাই ইলেকট্রিক স্কুটার, ওড়িশার ঘটনা

বৈদ্যুতিক স্কুটারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সাক্ষী থাকলো জগন্নাথ ভূমি- ওড়িশা। একটি দোকানের সামনে পার্ক করা এক ইলেকট্রিক স্কুটার হঠাৎই সম্পূর্ণরূপে আগুনে গ্রাসে চলে যায়। চোখের পলকে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সেটি। গত সোমবার ঘটনাটি ঘটে ওড়িশার সোনপুর জেলায়। ঘটনার আকস্মিকতায় হতচকিত হয়ে যায় সেখাণে দাঁড়িয়ে থাকা অন্যান্য মানুষজনরা। যদিও এই ঘটনায় স্কুটারের মালিক কিংবা অন্য কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

এদিন সকালে রবিনারায়ণ সেনাপতি নামে উলোন্দার এক বাসিন্দা একটি দোকানের সামনে তার ব্যাটারি চালিত স্কুটারটি দাঁড় করিয়ে কিছু জিনিস কেনার জন্য ভেতরে যান। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী ঠিক এই সময়েই তার স্কুটারটিতে আচমকা আগুন ধরে যায়। তৎক্ষণাৎ দমকলকে খবর দেওয়া হলেও তাদের সেই স্থানে পৌঁছানোর পূর্বেই সম্পূর্ণ স্কুটারটি পুরো ভষ্মীভূত হয়ে যায়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রকাশ করা ভিডিওতে পুড়ে যাওয়া স্কুটারটি পরিস্কার ভাবে দেখা যাচ্ছে। যদিও এই ঘটনার পিছনে প্রকৃত কারণ এখনোও পর্যন্ত জানা যায়নি। অনুমান, ব্যাটারির শর্ট-সার্কিটের থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে অবশ্যই তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার পর এই ব্যাপারে সঠিক তথ্য পাব আমরা। স্কুটারটির কোন সংস্থার তৈরি তা প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।

ভারতবর্ষের বৈদ্যুতিক স্কুটারের ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথম নয়। সাম্প্রতিক অতীতে এমন ধরনের প্রচুর ঘটনার সাক্ষী থেকেছে ১৩৫ কোটির এই দেশ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত তাপের জন্য এর মধ্যে থাকা ব্যাটারির বিস্ফোরণই প্রধান ভিলেন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, বৈদ্যুতিক স্কুটার কিংবা বাইক তৈরীর মূল উপাদান ব্যাটারি সেল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়, যা ভারতীয় গ্রীষ্মপ্রধান জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে অপারগ। ফলস্বরূপ এই ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

কয়েকদিন আগেই এমনই এক ব্যাটারি বিস্ফোরণে প্রাণ যায় সাত বছরের একটি ছোট ছেলের। সেক্ষেত্রেও চার্জ দেওয়ার সময় তৈরি হওয়া অত্যাধিক তাপের ফলেই এই বিস্ফোরণ হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। বৈদ্যুতিক যানবাহন বেশি চার্জ হয়ে যাওয়ার ফলে আগুন লাগার ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে।

গত কয়েক মাসে মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে চলা এই ধরনের ঘটনায় যথেষ্ট বিব্রত কেন্দ্রীয় সরকার। গতমাসে কেন্দ্রের পরিবহন মন্ত্রক এর জন্য বেশ কিছু গাইডলাইন জারি করেছে। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা থামার কোনো নাম নেই। তবে পূর্বের তুলনায় খানিকটা হলেও লাগাম পড়েছে এতে।