৯ বছর বয়েসেই কোটিপতি; ইউটিউব থেকে সর্বাধিক উপার্জনকারী খুদে রায়ান

বর্তমান সময়ে অনেকেই ইউটিউব (YouTube) চ্যানেল থেকে উপার্জন করার চেষ্টা করেন। আমাদের পরিচিত অনেকেই ইউটিউবাররা আছেন যারা এখান থেকে বেশ ভালো অঙ্কের টাকা আয় করেন। কিন্তু যদি বলি এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উপার্জন করা ইউটিউবারের বয়েস মাত্র নয় বছর এবং এই বয়েসেই সে কয়েক কোটি টাকার মালিক, তাহলে আপনাদের মধ্যে অনেকেরই চোখ কপালে উঠতে পারে! অবাক লাগলেও এই কথাটি সম্পূর্ণ সত্যি। সম্প্রতি, চলতি বছরে ইউটিউব থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করা ইউটিউবারদের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। দেখা গেছে, রায়ান কাজি নামে নয় বছরের একটি বাচ্চার নাম রয়েছে ওই তালিকার শীর্ষস্থানে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে রায়ান ২৯.৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২১৭ কোটি টাকা) পকেটস্থ করেছে। তবে ইউটিউবের পোকাদের কাছে রায়ানের এই কীর্তি কোনো নতুন বিষয় নয়। বছর দুয়েক আগেও সবচেয়ে বেশি উপার্জনকারী ইউটিউবার হিসেবে উঠে আসে এই খুদের নাম। এছাড়া, ২০১৭ সালে মাত্র ৬-৭ বয়সে ইউটিউব থেকে আয় করে সবাইকে চমকে দিয়েছিল রায়ান। অর্থাৎ এই নিয়ে তৃতীয়বার বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় উপার্জনকারী ইউটিউবার হিসেবে জায়গা করে নিল রায়ান।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস নিবাসী রায়ানের ইউটিউব চ্যানেলটির নাম রায়ান’স ওয়ার্ল্ড (Ryan’s World), যাতে এই মুহূর্তে ২.৭৬ কোটির বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। বাচ্চাটি তার ইউটিউব চ্যানেলে মূলত খেলনা আনবক্স করে এবং বিভিন্ন গেম সম্পর্কে পর্যালোচনা করে। এছাড়া সে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন DIY, বিজ্ঞান সম্পর্কিত এবং রোজকার নানা বিষয়ে ভিডিও আপলোড করে; ওই ভিডিওগুলির প্রতিটিতেই লক্ষ লক্ষ ভিউস রয়েছে।

তবে ইউটিউব ছাড়াও এই বয়েসে আরও আয়ের মাধ্যম আছে রায়ানের। নিজস্ব ব্র্যান্ডের খেলনা ও পোশাক থেকে রায়ানের আয় আনুমানিক ২০০ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া, জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল নিকলোডিওন সম্প্রতি তার সঙ্গে কয়েক মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে, ওই কার্টুন চ্যানেলের মাধ্যমে টিভিতে রায়ানের ভিডিওগুলি দেখানো হবে। শুধু তাই নয়, কলগেট, রোকু, ওয়ালমার্টের মত বেশ কয়েকটি কোম্পানি এবং জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হুলু (Hulu)-ও বাচ্চাটির সাথে চুক্তি করেছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে রায়ানের বাবা-মা তাকে ইউটিউবে ‘রায়ান’স টয়েস রিভিউ’ নামের একটি চ্যানেল খুলে দেন। পরে চ্যানেলটির নাম পরিবর্তন করে ‘রায়ানস ওয়ার্ল্ড’ রাখা হয়। বাচ্চাটির পরিবারের ইউটিউবে আরও আটটি চ্যানেল রয়েছে।