২০২৫ সালের মধ্যে পেট্রল-ডিজেলে ২০ শতাংশ ইথানল মেশানোয় চোখ কেন্দ্রের

Avatar

Published on:

তেল আমদানির খরচ বাঁচাতে পুরোপুরি বায়ো-ফুয়েল বা জৈব জ্বালানিতে চলতে পারে এমন ফ্লেক্স ইঞ্জিন (পেট্রোল + ইথানল) চালিত গাড়ি বাধ্যতামূলক করার পথে হাঁটছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখন ভারতে পেট্রলে ৮.৫ শতাংশ ইথানল মেশার অনুমতি রয়েছে। তবে ২০২৫ সালের মধ্যে পেট্রল-জিজেলে ২০ শতাংশ ইথানল মেশানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেন্দ্র।

২০১৪ সালে পেট্রলে ১ শতাংশ থেকে ১.৫ শতাংশ ইথানল মেশানো যেত। এখন তা ৮.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে৷ এবার ২০২৫ সালের মধ্যে সেটাই ২০ শতাংশ করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী কেন্দ্র। খুব সম্প্রতি একটি ফোরামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের একবার এমনই আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেল কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস, এবং আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর গলায়।

পুরী জানান, ভারতে মোট ব্যবহৃত হাইড্রোকার্বনের ৮৫ শতাংশ বাইরে থেকে আমদানি করা হয়। আর তার জন্য রাজকোষ থেকে প্রতি বছর ১২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়। পাশাপাশি  গ্যাসও আমদানি করা হয় বিদেশ থেকে। তাই পেট্রলে ইথানল মেশানোয় গতি আনতে চাইছি আমরা।

পুরী যোগ করে বলেছেন, সম্প্রতি ইথানলের জন্য একটি দরপত্র জারি হয়েছিল। আর তাতে নাকি বিপুল সাড়া মিলেছে। উল্লেখ্য, পেট্রলে বেশি করে ইথানল মেশানো গেলে ওই জ্বালানির আমদানি খাতে খরচ অনেকটাই কম হবে। ফলে সুরাহা পাবেন গাড়ি ব্যবহারকারীরা।

তবে ইথানল মেশানোয় জোর দিলে অন্যান্য শিল্পের উপরে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ ইথানলের মূল উৎস আখের রস। সে ক্ষেত্রে ইথানলের দাম বাড়লে আখচাষীরা চিনির বদলে এটি তৈরি করতে বেশি আগ্রহী হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। পুরী অবশ্য বলেন, আখ ছাড়াও জৈব জ্বালানি সংগ্রহের জন্য বিকল্প উৎসের খোঁজ করছি আমরা। তার জন্য ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যে কৃষি বর্জ্য এবং এমনকি বাঁশকেও গুরূত্ব দেওয়া হচ্ছে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥