ফোন হ্যাক হওয়ার ভয়? কোনটি ভাইরাসযুক্ত অ্যাপ কিভাবে চিনবেন

Avatar

Published on:

আমরা অনেকেই স্মার্টফোনে থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করে থাকি। সম্প্রতি এরকমই ৩৬টি ক্যামেরা অ্যাপ, প্লে স্টোর থেকে রিমুভ করেছে ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগল। এর মধ্যে কয়েকটি অ্যাপ্লিকেশন এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ডাউনলোড করেছিল। এই জাতীয় অ্যাপগুলি অযাচিত বিজ্ঞাপন এবং ফোনে ম্যালিশিয়াস ফাইল ঢুকিয়ে দেয়।

ওই ৩৬টি অ্যাপের তালিকায় রয়েছে Benbu Selife Beauty Camera, Pinut Selife Beauty Camera & Photo Editor, Mood Photo Editor & Selife Beauty Camera, Rose Photo Editor & Selfie Beauty Camera, Selife Beauty Camera & Photo Editor, Beauty & Filters Camera, Photo Collage & Beauty Camera, Beauty Camera Selfie Filter, Catoon Photo Editor & Selfie Beauty Camera ইত্যাদি অ্যাপ্লিকেশন।

হোয়াইট অপ্স থ্রেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিসার্চ টিমের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, স্ক্যামাররা গড়ে প্রতি ১১ দিনে একটি নতুন ভুয়ো অ্যাপ লঞ্চ করে। যখন, গুগল তার প্লে স্টোর থেকে এই জাতীয় প্রতারণামূলক অ্যাপ্লিকেশনগুলি সরানোর চেষ্টা করে, তখনই স্ক্যামাররা নতুন এবং সৃজনশীল উপায় বের করে কিভাবে ইউজারদের ফাঁদে ফেলা যায়। আজ আমরা আপনাদেরকে বলবো কিভাবে আপনি বুঝবেন যে কোন অ্যাপ নিরাপদ নয়।

কিভাবে এই ভাইরাস যুক্ত অ্যাপ্লিকেশন চিহ্নিত করবেন:

১. অ্যাপ্লিকেশনটির সম্পর্কে জানতে ডেভেলপারের কন্ট্যাক্ট অ্যাড্রেস যাচাই করতে পারেন। বেশির ভাগ ভুয়ো অ্যাপ্লিকেশনগুলির ডেভলপাররা তাদের অ্যাপের জন্য জিমেইল এবং ইয়াহু জাতীয় ফ্রি ইমেলিং পরিষেবা ব্যবহার করে।

২. আপনি যদি এমন কোনও অ্যাপ্লিকেশন খুঁজে পান যার কোনো ডেভলপার ইনফরমেশন নেই, তবে আপনি সহজেই ধরে নিতে পারেন এটি ম্যালিশিয়াস অ্যাপ।

৩. প্লে স্টোরে অ্যাপ্লিকেশন ডেসক্রিপশন দেখে অনেক সময় অ্যাপগুলি ভুয়ো কিনা বোঝা যায়। জাল অ্যাপ্লিকেশনে প্রায়ই সংক্ষিপ্ত এবং ত্রুটি পূর্ণ ডেসক্রিপশন থাকে।

৪. নিরাপদ অ্যাপগুলিতে গুগল “ভেরিফায়েড বাই প্লে প্রোটেক্ট” ব্যাজ দেয়। কোনো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার আগে সব সময় এই ব্যাজটি সন্ধান করুন।

৫. এছাড়া কোনো অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করার পরে যদি অযাচিত পপ-আপ আসতে থাকে, তাহলে সেটি ফেক অ্যাপ হতে পারে।

সঙ্গে থাকুন ➥