ভারতে ব্যান হচ্ছে WhatsApp? ফের আদালতে সহযোগিতা না করার অভিযোগ

Avatar

Published on:

বছরের শুরু থেকে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং মাধ্যম WhatsApp-এর। ভারতে ৪০০ মিলিয়নের বেশি ইউজার থাকা Facebook-এর মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্মটি বিগত কয়েক মাস ধরে নিজের নতুন গোপনীয়তা নীতি নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে। এমনকি তারা বারংবার ভারত সরকার এবং আদালতের প্রশ্নের মুখেও পড়েছে। শুধু তাই নয়, এবার WhatsApp (হোয়াটসঅ্যাপ)-কে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠলো। রিপোর্ট অনুযায়ী কেরালা হাইকোর্টে সম্প্রতি এই সংস্থার বিরুদ্ধে একটি PIL (পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন) দায়ের হয়েছে, যেখানে ভারতের আইনী কর্তৃপক্ষের সাথে সহযোগিতা করতে রাজি না করায় হোয়াটসঅ্যাপের পরিচালনা ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। কেরলের ইদুক্কি জেলার এক সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কেজি ওমানাকুটান এই আবেদনটি জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

WhatsApp কী ভারতে ব্যান হচ্ছে?

উক্ত আবেদনে বলা হয়েছে যে, হোয়াটসঅ্যাপ তার ইউজারদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করছে। এতে, সংস্থাটি সংবিধানের আর্টিকেল ২১ অর্থাৎ নাগরিকদের মৌলিক অধিকার খণ্ডন করে জাতীয় স্বার্থ এবং সুরক্ষার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আবেদনে আরো বলা হয়েছে যে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রচুর ভুয়ো টেক্সট, ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে এবং এই জাতীয় মেসেজ ব্যবহার করে নানা রাজনৈতিক এবং অসামাজিক প্রচার চালানো হয়।

এক্ষেত্রে অ্যাপটি যদি প্রযুক্তি পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক না হয় এবং সরকারের সাথে সহযোগিতা না করে, তবে এদেশে এটির উপলব্ধতায় আর অনুমোদন না দেওয়াই বাঞ্ছনীয় বলে আবেদনকারীরা মনে করছেন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র, অনেক ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। তাই অভিযোগ সত্য হলে হোয়াটসঅ্যাপের পরিণতিও এমন কিছু হতে পারে!

তবে সংবাদমাধ্যম ANI জানিয়েছে, প্রধান বিচারপতি এস মানিকুমার ও বিচারপতি শজি পি চেলির বেঞ্চ এই আবেদন খারিজ করেছেন। এই বিষয়ে আদালত বলেছে যে, হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের অনুসন্ধান করা তদন্তকারী সংস্থার কাজ। তাই এই আবেদনে আদালত সাড়া দেবে না।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥