জনপ্রিয়তা বাড়াচ্ছে দেশীয় মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম Koo – ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ছাড়ালো!

Avatar

Published on:

প্রকাশ্যে আসার একবছর হতে না হতেই দেশীয় মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম কু (Koo) ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ছাড়ালো! বিগত কয়েক মাসে এই দেশীয় সামাজিক মাধ্যমের সদস্য সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত টুইটারের (Twitter) প্রতিদ্বন্দ্বী রূপে গতবছর দুই ভারতীয় উদ্যোগপতি কু (Koo) প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার কথা চিন্তা করেন। কেন্দ্রের তথ্যপ্রযুক্তি নীতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে আবির্ভাবের ফলে প্ল্যাটফর্মটি শুরু থেকেই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে। তাই দেশনেতাদের বারংবার উল্লেখের ফলে কু-এর সাফল্য অবশ্যম্ভাবী ছিলো বলে নাগরিকদের একাংশের অভিমত।

Koo-এর ব্যবহারকারী সংখ্যা ১ কোটি ছাড়াল

১ কোটি সদস্য পূর্ণ করার গৌরব স্পর্শ করলেও কু’য়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অপ্রমেয় রাধাকৃষ্ণ আনন্দে বিহ্বল হতে রাজি নন। বরং আগামী এক বছরের মধ্যে কিভাবে আরো ১০ কোটি নতুন সদস্যকে প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করা যায় সেটা ভাবতেই তিনি বেশী আগ্রহী। তাই খুব জোরের সাথেই তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর নিরিখে মাইক্রোব্লগিংয়ের প্রতি আকৃষ্ট নেটিজেনের সংখ্যা নগণ্য। ফেসবুক (Facebook) বা ইনস্টাগ্রামের (Instagram) মতো সামাজিক মাধ্যমের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও, মাইক্রোব্লগিংয়ের প্রতি জনতার একটা বড় অংশ এখনো বিমুখ। মুখ ফিরিয়ে থাকা এই বিপুল সংখ্যক মানুষ যাতে নিজেদের মতামত প্রকাশের ক্ষেত্র হিসেবে কু প্ল্যাটফর্মটিকে বেছে নেন, আগামীদিনে সেটা সুনিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য হবে বলে রাধাকৃষ্ণ জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি যে টুইটারের (Twitter) প্রতিদ্বন্দ্বী সামাজিক মাধ্যম Koo সদস্যেরা হিন্দি, তেলেগু, বাংলা সহ একাধিক ভারতীয় ভাষায় মাইক্রোব্লগিংয়ের সুবিধা উপভোগ করেন। এই ভাষাগত স্বাধীনতা দেশীয় মাধ্যমটির শ্রীবৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে বহু নেটাগরিক মনে করছেন। তাছাড়া কোনো বিষয়ে নিজস্ব মতামত বা বক্তব্য পেশ করার ক্ষেত্রে Koo সদস্যদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। নইলে বছরখানেকের মধ্যে তাদের পক্ষে এতটা সাফল্যের মুখ দেখা অসম্ভব ছিলো।

আসলে বিরুদ্ধ মতপ্রকাশের ফলে গতবছর কেন্দ্রীয় সরকার ও টুইটার কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিবাদের পরিসর তৈরী হয়। কয়েকটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে কতিপয় সরকারি নেতা টুইটারের উপরে খড়্গহস্ত হয়ে ওঠেন। এইসময় নয়া সামাজিক মাধ্যম হিসেবে কু প্রকাশ্যে আসে। স্থানীয় আইনকানুন ও সরকারি নীতি মোতাবেক বাকস্বাধীনতা প্রকাশের ক্ষেত্র হিসেবে প্ল্যাটফর্মটি প্রথম থেকেই দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয়।

উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে দুনিয়ার সবথেকে বেশী ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ভারতে বাস করেন। তাছাড়া এদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম বাজার। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই Facebook, Twitter সহ জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমগুলি ভারতীয় নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে নীতিমালায় পরিবর্তন আনে। একইসাথে তারা নিজস্ব শর্তাবলীসমূহ বজায় রাখার চেষ্টা করে। ফলে কখনো কখনো তাদের সাথে সরকারের বিরোধ তৈরী হয়। যদিও স্বদেশী মাধ্যম কু Koo এই ধরনের বিরোধের উর্ধ্বে উঠে নিজেদের সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে নিয়ে যেতেই অধিক মনোযোগী বলে সংস্থার কর্তা রাধাকৃষ্ণ দাবী করেছেন।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥