Microsoft Surface Laptop Studio ভারতে ১৬ জিবি পর্যন্ত র‌্যাম ও উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেম সহ লঞ্চ হল

Avatar

Published on:

সম্প্রতি ভারতের আত্মপ্রকাশ করলো Microsoft Surface Laptop Studio। ডেভলপার, ক্রিয়েটিভ প্রফেশনাল, ডিজাইনার এবং গেমারদের লক্ষ্য করে তৈরি এই ল্যাপটপটি গতবছর যুক্তরাষ্ট্রীয় বাজারে লঞ্চ হয়। এবার আসলো ভারতের পালা। সংস্থাটি দাবি করেছে একাধিক কনফিগারেশনের সাথে আসা এই ল্যাপটপটি ডেক্সটপের প্রয়োজনীয়তা পূর্ণ করতে সক্ষম। এতে দেওয়া হয়েছে ১৪.৪ ইঞ্চি পিক্সেল সেন্স ফ্লোর টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট ১২৯ হার্টজ। এছাড়া ব্যবহৃত হয়েছে ১১তম জেনারেশনের ইন্টেল কোর এইচ৩৫ প্রসেসর এবং ডলবি অ্যাটমস সহ কোয়ার্ড অমনিসনিক স্পিকার। সংস্থার মতে, সারফেস ল্যাপটপ সিরিজের সবচেয়ে শক্তিশালী ল্যাপটপ এটি। চলুন দেখে নেওয়া যাক Microsoft Surface Laptop Studio- র দাম, ও সম্পূর্ণ ফিচার।

Microsoft Surface Laptop Studio- র দাম ও লভ্যতা

ভারতে মাইক্রোসফট সারফেস ল্যাপটপ স্টুডিওর বেস মডেল অর্থাৎ ইন্টেল কোর আই৫ ১১তম জেনারেশনের প্রসেসর, ১৬ জিবি র‍্যাম এবং ২৫৬ জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের দাম ধার্য করা হয়েছে ১,৫৬,৯৯৯ টাকা (বাণিজ্যিক মূল্য) এবং ১,৬৫,৯৯৯ টাকা (গ্রাহক মূল্য)। পাশাপাশি ১১তম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই৭ প্রসেসর ১৬ জিবি র‍্যাম এবং ২ টিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের দাম রাখা হয়েছে ৩,৪৩,৪৯৯ টাকা। গতকাল থেকেই ল্যাপটপটি প্রি অর্ডার করা যাবে। আগামী ৮ মার্চ থেকে কোম্পানির নিজস্ব ওয়েবসাইট ছাড়াও অথরাইজড রিটেল এবং অনলাইন স্টোরের মাধ্যমে কিনতে পাওয়া যাবে ল্যাপটপটি।

Microsoft Surface Laptop Studio- র স্পেসিফিকেশন

মাইক্রোসফট সারফেস ল্যাপটপ স্টুডিও-তে দেওয়া হয়েছে ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যালুমিনিয়াম কেসিং। এটি উইন্ডোজ ১১ রান করবে। ল্যাপটপটির ডিসপ্লেকে একাধিক অ্যাঙ্গেলে ঘোরানোর জন্য এতে দেওয়া হয়েছে ডাইনামিক উভেন হিঞ্জ। ফলে ডিভাইসটিকে একাধারে ট্যাবলেট, ক্যানভাস কিংবা নোটবুক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। শুধু তাই নয়, ল্যাপটপটির সাথে দেওয়া হয়েছে ম্যাগনেটিক কয়েল সারফেস স্লিম পেন ২।

অন্যদিকে, এই পরিবর্তনশীল ল্যাপটপটিকে তিনটি ভিন্ন মোডে ব্যবহার করা যাবে। এগুলি হল ল্যাপটপ মোড, স্টেজ মোড এবং স্টুডিও মোড। এর মধ্যে রেগুলার মোডে ব্যবহারকারী এটিকে চিরাচরিত ল্যাপটপের মত ব্যবহার করতে পারবেন। স্টেজ মোডে গেমিং, স্ট্রিমিং, ডকিং এবং প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ডিসপ্লেটিকে টেনে কি-বোর্ডের ওপর আঙ্গেল করে রাখতে হবে। তবে তখন টাচ প্যাডটি খোলা থাকবে। তৃতীয় মোড অর্থাৎ স্টুডিও মোডে ল্যাপটপটি ক্যানভাস কিংবা রাইটিং নোটবুক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

নয়া ল্যাপটপটির ডিসপ্লে প্রসঙ্গে বলতে গেলে এতে দেওয়া হয়েছে ১৪.৪ ইঞ্চি পিক্সেল সেন্সর ডিসপ্লে,যার রেজোলিউশন ২৪০০x১৬০০ পিক্সেল। এতে উপস্থিত ১০ পয়েন্ট মাল্টিটাচ সাপোর্ট এবং এর রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্টজ ও অ্যাসপেক্ট রেশিও ৩:২। এখানে জানিয়ে রাখি, ল্যাপটপটি ১১তম জেনারেশনের ইন্টেল কোর আই৫ প্রসেসর দ্বারা চালিত। এর সাথে রয়েছে ১২ জিবি পর্যন্ত এলপিডিডিআর৪এক্স র‍্যাম এবং ২ টিবি পর্যন্ত এসএসডি স্টোরেজ। অন্যদিকে, ইন্টেল কোর আই৫ প্রসেসর দ্বারা চালিত মডেলটিতে রয়েছে ইন্টেল আইরিশ এক্সই ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স। আবার ইন্টেল কোর আই৭ প্রসেসর দ্বারা চালিত মডেলে পাওয়া যাবে এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স ৩০৫০ টিআই জিপিইউ। সাথে ৪ জিবি জিডিডিআর৬ মেমোরি ।

এছাড়া, মাইক্রোসফট সারফেস ল্যাপটপ স্টুডিও ল্যাপটপটিতে রয়েছে ১০৮০পিক্সেল ফন্টফেসিং ক্যামেরা, ডুয়েল ফার-ফিল্ড স্টুডিও মাইক এবং ডলবি এটমস সহ অমনিসনিক স্পিকার। সিকিউরিটি অপশন হিসাবে ল্যাপটপটিতে ফার্ম ওয়্যার টিপিএম এবং এন্টারপ্রাইজ গ্রেট প্রটেকশন উপলব্ধ ।

অন্যদিকে, Microsoft Surface Laptop Studio ল্যাপটপটির কানেক্টিভিটি অপশনে শামিল রয়েছে দুটি ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট, একটি ৩.৫ এমএম হেডফোন জ্যাক, সারফেস কানেক্ট পোর্ট, ওয়াইফাই৬ এবং ব্লুটুথ ভি৫.১। শুধু তাই নয়, ইন্টেল কোর আই৫ মডেলটি ১৯ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম এবং এতে দেওয়া হয়েছে ৬৫ ওয়াট সারফেস পাওয়ার সাপ্লাই অ্যাডাপ্টার। অন্যদিকে, ইন্টেল কোর আই৭ মডেলটি ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ দেবে এবং এতে দেওয়া হয়েছে ১০২ ওয়াট সারফেস পাওয়ার সাপ্লাই অ্যাডাপ্টার। ল্যাপটপটির পরিমাপ ৩২৩.২৮x২২৮.৩২x১৮.৯৪ এমএম। পরিশেষে জানাই, মাইক্রোসফট সারফেস ল্যাপটপ স্টুডিও ইন্টেল কোর আই৫ মডেলটির ওজন ১.৭ কেজি এবং এই৭ প্রসেসর দ্বারা চালিত মডেলটির ওজন ১.৮ কেজি।

সঙ্গে থাকুন ➥