বিজ্ঞাপনের জ্বালায় টিভি দেখা বন্ধ করছে মানুষ, অসন্তুষ্ট Trai গেল দিল্লি হাইকোর্টে

Avatar

Published on:

মাত্রাতিরিক্ত বিজ্ঞাপনের ফলে তিতিবিরক্ত টেলিভিশন দর্শকদের অভিযোগ প্রকাশ্যে আনতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলো টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ট্রাই (TRAI)। সম্প্রতি দেশের টেলিকম নিয়ামক সংস্থাটি টেলিভিশনে প্রদর্শিত মুহুর্মুহু বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এর ফলে টেলিভিশন অনুরাগীদের দর্শন অভিজ্ঞতা যে দিন দিন নিকৃষ্ট থেকে নিকৃষ্টতর পর্যায়ে নেমে যাচ্ছে, সেকথা মনে করিয়ে দিতেও TRAI -এর কোন ভুল হয়নি। আর একারণেই ট্রাইয়ের উপরে খাপ্পা হয়ে উঠেছে News Broadcasters Association বা NBA সহ বেশ কয়েকটি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।

TRAI বিজ্ঞাপনের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে পারেনা – বলছে NBA

আজ্ঞে হ্যাঁ, মাত্রাছাড়া পরিমাণে বিজ্ঞাপন দেখানোর বিরুদ্ধে সরব দেশের টেলিকম নিয়ামক সংস্থার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে এনবিএ’র (NBA) দাবী, বিজ্ঞাপনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কোনো ক্ষমতা ট্রাইয়ের (TRAI) নেই। শুধু এটুকুই নয় বরং এ ব্যাপারে ট্রাইয়ের অনধিকার হস্তক্ষেপ যে মান্য বিধি লঙ্ঘন করেছে, সেটাও এনবিএ তাদের বক্তব্যে জানিয়েছে। এনবিএ’র সঙ্গে বেশ কিছু চ্যানেলের পক্ষ থেকেও ট্রাইয়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলা হয়েছে।

অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি, ১৯৯৪ সালের কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক রুলস (CTN/Cable TV Rules) অনুযায়ী কোনো অনুষ্ঠান সম্প্রচারকালে ঘন্টা পিছু সর্বোচ্চ ১২ মিনিটের বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের অনুমতি রয়েছে। এর মধ্যে ২ মিনিট আবার চ্যানেলের নিজস্ব প্রচারমূলক বিজ্ঞাপনের জন্য বরাদ্দ। অবশিষ্ট ১০ মিনিটে চ্যানেলগুলি অন্যান্য বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন দেখাতে পারে। দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে TRAI এই আইনের কথাই স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছে।

আসলে বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঘন্টা পিছু বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের পরিমাণ নির্ধারিত ১২ মিনিটের সময়সীমা অতিক্রম করে যায়। এর ফলে সামগ্রিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের টেলিভিশন দর্শন অভিজ্ঞতা। ফলে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে তারা যে উপভোক্তা অসন্তোষ দূর করতেই সচেষ্ট, সেকথা TRAI তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট করে দিয়েছে। এদিকে এই সমস্যাকে কেন্দ্র করে দিল্লি হাইকোর্ট NBA ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া চেয়ে পাঠিয়েছে বলে সংবাদসূত্রের দাবী।

সঙ্গে থাকুন ➥