Electric Car: একটা শর্তে স্মার্টফোনের মতো বৈদ্যুতিক গাড়িও সস্তা হবে, বললেন বিদ্যুৎমন্ত্রী

বর্তমানে পৃথিবীর অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো পরিবেশ দূষণ যা প্রত্যেকটি রাষ্ট্রনায়কদের কপালে চিন্তার ভাঁজ তৈরি করেছে। ইতিমধ্যেই পরিবেশ দূষণের কবল থেকে মানবজাতিকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। কার্বনশূন্য পরিবেশ গড়ে তুলতে বিভিন্ন দেশ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে। আর পরিবেশকে কার্বনমুক্ত করতে গেলে সর্বপ্রথম পেট্রোল ডিজেলের জ্বালানি সম্পুর্নভাবে পরিত্যাগ করতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত যানবাহনের পরিবর্তে ব্যবহার করতে হবে ব্যাটারি চালিত গাড়ি। একমাত্র ইলেকট্রিক গাড়ির উপর মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও আগ্রহ বৃদ্ধি করতে পারলে দেশে সম্পূর্ণভাবে বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রচলন করা সম্ভব হবে। আর তাহলেই এক দূষণমুক্ত পৃথিবী গড়া সক্ষম হবে।

কিন্তু সমস্যা একটাই থেকে যাচ্ছে, পরিবেশবান্ধব এই জাতীয় গাড়ির দাম অনেক ক্ষেত্রেই মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এর পেছনে মূলত দায়ী বিদেশ থেকে আমদানিকৃত ইভির অতি মূল্যবান ব্যাটারি। সুতরাং এগুলির মূল্য সাধ্যের মধ্যে আনতে গেলে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ভারতের মাটিতেই সেগুলির যন্ত্রাংশ ও ব্যাটারি তৈরি করতে হবে। সম্প্রতি এই পক্ষেই সাওয়াল করেছেন গোয়ার বিদ্যুৎমন্ত্রী।

গত মঙ্গলবার বৈদ্যুতিক গাড়ির ভর্তুকি প্রদানের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বিশেষ অতিথি রূপে উপস্থিত ছিলেন গোয়ার বিদ্যুৎমন্ত্রী সুদিন ধাভালিকার। বৈদ্যুতিক গাড়ির অস্বাভাবিক দামকে কমাতে এতে ব্যবহৃত লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি এবং তার মূল উপাদান সেল যাতে ভারতে উৎপাদন করা যায় সেই ইচ্ছাই প্রকাশ করেছেন তিনি। তার মতে এতে এহেনো ব্যাটারি চালিত গাড়ির মূল্য বর্তমানে যা তার থেকে অর্ধেক হয়ে যাবে।

বৈদ্যুতিক যানবাহন ব্যবহারকারীদের রেঞ্জ নিয়ে দুশ্চিন্তা কমাতে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চার্জিং স্টেশন স্থাপন করার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। এদিন ধাভালিকর বলেন ” লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ভারতে তৈরি হয়না। তাই যখন দেশেই এটির উৎপাদন হবে, ইভি এর দাম সাধ্যের মধ্যে আসা সম্ভব হবে।” তিনি এও বলেন বেশি চার্জিং স্টেশন তৈরি হলে সাধারণ মানুষের পক্ষে গাড়ি চার্জ দেওয়া সুবিধাজনক হবে।

মন্ত্রী শেষে বলেন, এক সময় যেহেতু মোবাইল ফোন অন্য দেশ থেকে আমদানি করা হতো তাই এর মূল্য অনেকটাই বেশি ছিল। কিন্তু আমাদের দেশেই মোবাইল তৈরি হওয়ার পর থেকে এর দাম অনেকটাই কমেছে। তাই তার মত, যেদিন দেশীয় প্রযুক্তিতে ভারতের মাটিতেই লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি প্রস্তুত করা সম্ভব হবে সেদিন বৈদ্যুতিক গাড়ি গাড়ির মূল্য এক লাফে ৩০ লাখ টাকা থেকে ১৬ লাখ টাকায় নেমে যাবে।