দাঁড়িয়ে দেখবে সবাই, বাজাজ-এর তৈরি 44 হর্সপাওয়ারের দুর্ধর্ষ বাইক আসছে বাজারে

২০২০ সালে ভারতে তাদের যাত্রা শুরু করেছিল সুইডেনের জনপ্রিয় বাইক নির্মাতা- Husqvarna। একসাথে দুটি ২৫০ সিসির মডেল, Svartpilen এবং Vitpilen লঞ্চের মাধ্যমে এদেশে আগমন ঘটে সংস্থার। প্রথমদিকে ভারতীয় ক্রেতাদের মধ্যে বাইক দু’টির প্রতি আগ্রহ জন্মালেও পরবর্তীতে প্রতিযোগিতায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে তারা। যার পেছনে অন্যতম বড় কারণ প্রচার, ঝুলিতে মডেলের অভাব ও স্বল্প ডিলারশিপ। বিগত তিন বছরে ভারতে শুধু দুই বাইক বেচলেও, ক্রেতাদের জন্য নতুন বছরে বড় চমক নিয়ে আসছে Husqvarna।

অটো পোর্টালগুলির রিপোর্ট অনুযায়ী Husqvarna Svartpilen 401 খুব তাড়াতাড়ি ভারতে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। মোটামুটি ভাবে জানুয়ারি মাসেই আনুষ্ঠানিক লঞ্চ হবে বলে শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সংস্থার বেশ কিছু ডিলারশিপে অগ্রিম বুকিং চালু হয়েছে বলে খবর। ৫০০০ টাকা টোকেন হিসাবে জমা করেই Svartpilen 401 প্রি-বুক করা যাবে। উল্লেখ্য, বাইকটি একেবারেই যে নতুন সেটা বলা ভুল।অনেকদিন ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে Vitpilen 401 এর সাথে উপলব্ধ Svartpilen 401। এর মধ্যে Vitpilen 401 ভারতে তৈরি হয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হলেও, এদেশে এখনও লঞ্চ হয়নি।

জানিয়ে রাখা ভালো Vitpilen ও Svartpilen বাইক দুটি বাজাজ অটোর চাকানের কারখানায় বানানো হয়। ২৫০ সিসির মডেলগুলি ভারতীয়দের জন্য তৈরি হলেও ৪০১ রেঞ্জ শুধু বিদেশেই সরবরাহ করা হয়। Pierer Mobility-এর নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা Husqvarna আসলে KTM এর শাখা। সেই কারণেই ভারতে তাদের ব্যবসা সংক্রান্ত দেখভাল পুরোপুরি বাজাজের হাতেই ন্যাস্ত।

বিশেষ ফিচার্সের কথা বলতে গেলে Svartpilen 401 এলইডি হেডল্যাম্প, এলইডি টেল লাইট, ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল, মোবাইল কানেক্টিভিটি এবং রাইড মোড সহ এসেছে। এছাড়াও অপশনাল ফিচার হিসেবে রয়েছে কুইকশিফ্টার। বাইকটিকে চালিকাশক্তি সরবরাহ করবে নিউ জেনারেশন KTM Duke 390-এর ৩৯৯ সিসি লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন। সিক্স স্পিড গিয়ারবক্স সহ এই ইঞ্জিনটি সর্বোচ্চ ৪৫ বিএইচপি এবং ৩৯ এনএম টর্ক তৈরি করতে পারে।

Svartpilen 401-এর সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলাতে সামনের দিকে উল্টানো ফর্ক এবং পিছনে মনোশক অ্যাবজর্ভার থাকবে। ব্রেকিং সিস্টেম হিসেবে উভয় চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক দেখতে পাওয়া যাবে। স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস থাকবে। আন্তর্জাতিক সংস্করণে স্পোক যুক্ত চাকা লাগানো থাকলেও ভারতীয় ভার্সনে অ্যালয় হুইল ব্যবহার করা হবে। সঙ্গে ডুয়েল পারপাস টায়ার মিলবে।