Flash Sales Ban: ভারতে ফ্ল্যাশ সেল ব্যান করতে বিল আনছে কেন্দ্র সরকার, অস্বস্তিতে ই-কমার্স সাইটগুলি

ভারতে বন্ধ হতে চলেছে ফ্ল্যাশ সেলে প্রোডাক্ট বিক্রি। অবৈধ ব্যবসায়িক কৌশল হিসেবে চিহ্নিত করে ই-কমার্স সাইটের ফ্ল্যাশ সেল কে ব্যান করার পথে হাঁটছে কেন্দ্র। ভারত সরকার তার ই-কমার্স সাইটগুলির জন্য আনা নিয়মে পরিবর্তন প্রস্তাব করেছে, যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে ফ্ল্যাশ সেল একটি ‘আনফেয়ার ট্রেড প্রাক্টিস’ (unfair trade practice)। ফলে এই ধরনের সেল যারা আয়োজন করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। শুধু তাই নয়, নতুন নিয়মে যদি বিক্রেতারা তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে তবে প্ল্যাটফর্মগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। সরকারের তরফে আজ বলা হয়েছে, “১৫ দিনের মধ্যে (৬ জুলাই, ২০২১ সালের মধ্যে) ক্রেতা সুরক্ষা (ই-কমার্স) বিধিমালা, ২০২০ সংশোধনের বিষয়ে মতামত/মন্তব্য/পরামর্শ চাওয়া হচ্ছে।” প্রসঙ্গত গত বছর, এই নতুন নিয়ম সম্পর্কে ই-কমার্স সাইটগুলি কে জানানো হয়েছিল।

Flash Sale ব্যান করার প্রসঙ্গে কী বলছে ভারত সরকার

সরকার তার বিবৃতিতে বলেছে, “গত বছর বিজ্ঞপ্তির পর থেকে সরকার বিক্ষুব্ধ ক্রেতা, ব্যবসায়ী এবং সমিতিগুলির কাছ থেকে বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছে। যা নিশ্চিত করে ই-কমার্স ইকোসিস্টেমে ব্যাপক প্রতারণা চলছে এবং অবৈধ ব্যবসায়িক কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে।”

Flash Sale আসলে কী

আপনি যদি এখনো না জেনে থাকেন যে, ফ্ল্যাশ সেল আসলে কী তাহলে বলি, ই-কমার্স সাইটগুলি বিভিন্ন প্রোডাক্টকে (বিশেষত স্মার্টফোন) একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে তাদের প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ করে। স্টক শেষ হয়ে গেলে সেল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Xiaomi, OnePlus এর মত চাইনিজ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড তাদের প্রোডাক্টগুলি কে মূলত ফ্ল্যাশ সেলে বিক্রি করে। যদিও অনেকের অভিযোগ আছে, কোম্পানিগুলি ফ্ল্যাশ সেলের নামে তাদের প্রোডাক্টের মিথ্যা জনপ্রিয়তা তৈরি করছে। কারণ তারা কতগুলি প্রোডাক্ট সেলে বিক্রির জন্য মজুত করেছে তা জানার উপায় নেই। ফলে বেশিরভাগ সেলেই প্রোডাক্ট না পেয়ে হতাশ হচ্ছে আগ্রহীরা এবং তারা ভাবছে প্রোডাক্টটির ব্যাপক চাহিদা।

Flash Sale ব্যান হলে সুবিধা অফলাইন ব্যবসায়ীদের

ভারতে ফ্ল্যাশ সেল ব্যান হলে লাভবান হবেন অফলাইন ব্যবসায়ীরা। কারণ তারা প্রায়শই অভিযোগ করে, কোম্পানিগুলি ফ্ল্যাশ সেলে প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মের দ্বারস্থ হয়। ফলে নতুন প্রোডাক্ট অফলাইন মার্কেটে অনেক পরে আসে, যখন তার চাহিদা অনেক কম থাকে।

নতুন এই বিল সম্পর্কে কয়েকজন ব্যবসায়ী আবার বলেছেন, সরকার অনেক দেরি করে নিয়ম নিয়ে আসছে। কারণ লকডাউনের কারণে এমনিতেই অফলাইন মার্কেটগুলি বন্ধ। এছাড়া Xiaomi এর মত স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলি এখন ফ্ল্যাশ সেলের ওপর অতবেশি নির্ভর নয়।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন