Flying E-Taxi: গাড়ির থেকে দশগুন স্পিডে যাত্রী নিয়ে আকাশে উড়বে ভারতের প্রথম ফ্লাইং ই-ট্যাক্সি

যেখানে বিশ্বের তাবড় ফ্লাইং কার সংস্থাগুলি তাদের উদ্ভাবনকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাতের ঘুম ছেড়েছে, এমতাবস্থায় ভারতীয় স্টার্টআপ ইপ্লেন (ePlane) দেশের প্রথম উড়ন্ত ইলেকট্রিক ট্যাক্সির কথা সগর্বে ঘোষণা করল। আইআইটি মাদ্রাজের কোম্পানিটি একটি ইলেকট্রিক ভার্টিক্যাল টেকঅফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং বা ইভিটল (eVTOL) তৈরি করে তাক লাগিয়েছে। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সংস্থাটি চলতি সপ্তাহে বেঙ্গালুরুতে ‘এরো ইন্ডিয়া শো’-তে তাদের এই পরিবেশবান্ধব ফ্লাইং ট্যাক্সির নমুনা মডেলের প্রদর্শন করেছে।

এই ফ্লাইং ট্যাক্সিটি যাত্রী সহ হেলিকপ্টারের থেকে দ্রুত গতিতে গন্তব্যে পৌঁছবে বলে দাবি ইপ্লেনের। শহরের যানজট এড়িয়ে যাতে সময় মতো কর্মস্থলে পৌঁছনো যায়, সেজন্য এটি বানিয়েছে। সিঙ্গেল চার্জে একটানা দুশো কিলোমিটার পথ চলতে পারবে এই ইভিটল। আবার একটি সাধারণ গাড়ির চাইতে এর গতি ১০ গুণ বেশি বলে দাবি করেছে সংস্থা।

এমনকি, ইপ্লেন জানিয়েছে, গন্তব্যে পৌঁছাতে রাইড হেইলিং সংস্থা উবের (Uber) যেই পরিমাণ ভাড়া নিয়ে থাকে, সেই একই দূরত্ব যেতে ফ্লাইং ট্যাক্সিতে যেতে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া গুণতে হবে। যা হেলিকপ্টারের ভাড়ার চাইতে নগণ্য বলা যায়। এই প্রসঙ্গে ইপ্লেন কোম্পানির সিইও প্রাঞ্জল মেহতা এবং আইআইটি মাদ্রাজের অধ্যাপক সত্য চক্রবর্তী (সংস্থার সিটিও) বলেন, তাঁরা ইলেকট্রিক গ্রাউন্ড ট্রান্সপোর্টেশনের একটি ভিডিও দেখার পর, ফ্লাইং ট্যাক্সি নির্মাণের অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন।

ePlane eVTOL হার্ডওয়্যার ও স্পেসিফিকেশন

আকাশে ওড়া বা অবতরণের জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন পড়বে না এই উড়ন্ত ট্যাক্সিটির। এমনকি ২৫ স্কোয়ার মিটার জায়গাতেই অনায়াসে পার্ক করা যাবে এটি। ২০০ কেজি ওজনের মডেলটিতে রয়েছে ৪টি পাখা, যেগুলি প্রপেলার হিসেবে কাজ করে। দুইজন যাত্রী বসার ব্যবস্থা সহ ১৫০ থেকে ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ তুলতে সক্ষম এটি।

আবার সর্বোচ্চ ৪৫৭ মিটার বা ১,৫০০ ফুট উচ্চতায় উড়তে সক্ষম এই ইভিটল। এতে উপস্থিত ব্যাটারি এবং এর চার্জিংয়ের সময় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি সংস্থা। গত বছর বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ডলার বা প্রায় ৪১ কোটি টাকা জোগাড় করতে পেরেছে সংস্থাটি। এই ফ্লাইং ট্যাক্সিটি আকাশে ওড়ার জন্য একজন চালকের প্রয়োজন। ভবিষ্যতে এতে অটোনোমাস প্রযুক্তি দেওয়া হতে পারে। তখন আকাশে ওড়ার জন্য চালকের আর প্রয়োজন পড়বে না।