Maruti Suzuki-র কত লাখ গাড়ি গ্রাহকদের ডেলিভারি দেওয়া বাকি শুনলে চমকে উঠবেন

বর্তমানে দেশের বৃহত্তম গাড়ি সংস্থা মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)। সম্প্রতি সংস্থার জমে থাকা বুকিংয়ের পরিসংখ্যান প্রকাশ পেয়েছে। যার মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস বা সিএনজি (CNG) চালিত গাড়ির পরিমাণ চোখে পড়ার মতো। পরিসংখ্যান বলছে বর্তমানে ইন্দো-জাপান সংস্থাটির জমে থাকা বরাতের সংখ্যা ৩.১৫ লক্ষ। এর মধ্যে ৪০% হল সিএনজি চালিত গাড়ির।  সংস্থার মোট ১৫টি গাড়ির মধ্যে ৯টির সিএনজি ভার্সন বাজারে উপলব্ধ।

এই প্রসঙ্গে মারুতি সুজুকির সিইও শশাঙ্ক শ্রীবাস্তব  সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এ পর্যন্ত ৩.১৫ লক্ষ গাড়ির ডেলিভারি জমে রয়েছে।” তিনি জানান মডেল অনুযায়ী তাদের গাড়ির গড় ওয়েটিং পিরিয়ড ৩ মাসের কম। অর্থাৎ ডেলিভারির পর গাড়ির চাবি হাতে পেতে গ্রাহকদের গড়ে ৩ মাসের কম সময় অপেক্ষা করতে হয়। এদিকে ৩০ জুন নতুন প্রজন্মের ব্রেজা লঞ্চ করতে চলেছে মারুতি সুজুকি। জানা গেছে, ইলেকট্রিক সানরুফ সহ-আসবে গাড়িটি। ফিচারটি সংস্থার ইতিহাসে এই প্রথম।

শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, নতুন ব্রেজার ওয়েটিং পিরিয়ড ২ মাস। তলে বাজার চলতি ব্রেজার ২০,০০০ ইউনিট এখনও ডেলিভারি করা বাকি রয়েছে। বর্তমানে প্রতি মাসে ১০,০০০ ব্রেজা উৎপাদন হয়। তবে আগামী দিনে এই সংখ্যাটি বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। সিএনজি মডেলের উৎপাদন কম হওয়ায়, তা ডেলিভারি করতে সময় লাগছে বলে জানানো হয়েছে। বর্তমানে সিএনজি চালিত ব্রেজা নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ হিসেবে যন্ত্রাংশের জোগানকে দায়ী করা হয়েছে। একবার সেই সমস্যা মিটে গেলে ফের উৎপাদন চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রীবাস্তব।

প্রতি মাসে ১০,০০০ কম্প্যাক্ট এসইউভি গাড়ি বিক্রি হওয়ায়, এই সেগমেন্ট মারুতি সুজুকির মার্কেট শেয়ার ২০%। তাই এক্ষেত্রে বিক্রির ভোল বদলাতে Ertiga, XL6 -এর পর নতুন ভার্সনে আনা হচ্ছে Brezza। ২০১৬ সালে প্রথম লঞ্চ ‌হয়েছিল এটি। Vitara Brezza নামের থেকে Vitara শব্দটি এবারে বাদ পড়তে চলেছে। Hyundai Venue -র সাথে প্রতিযোগিতা চলবে এর। এছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বীদের তালিকায় রয়েছে Tata Nexon, Mahindra XUV300, Kia Sonet ও Renault Kiger। নতুন ব্রেজার মাইলেজ আগের তুলনায় বাড়বে বলে জানিয়েছেন শ্রীবাস্তব।