লকডাউন ৪.০ : রেড জোনেও এবার সমস্ত প্রোডাক্ট বিক্রির অনুমতি পেল ই-কমার্স সাইটগুলি

স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো Amazon, Flipkart, Paytm Mall, Snapdeal এর মতো ই-কমার্স সাইটগুলি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে রেড জোনেও এবার প্রোডাক্ট ডেলিভারির অনুমতি দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের লকডাউন ৪.০-এর নির্দেশিকায় ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্য ছাড়াও অন্যান্য প্রোডাক্ট ডেলিভারির অনুমতি মিলেছে। প্রসঙ্গত ৪ মে থেকে শুরু হওয়া লকডাউন ৩.০ তে, ই-কমার্স সংস্থাগুলি কেবল গ্রীন এবং অরেঞ্জ জোনগুলিতে স্মার্টফোন, ফ্যাশন প্রোডাক্ট, ইলেকট্রনিক প্রোডাক্ট ইত্যাদি ডেলিভারি করার অনুমতি পেয়েছিলো।

দেশের বেশিরভাগ মেট্রো শহর এবং বড় শহরগুলি রেড জোনে পড়েছে, যার কারণে ই-কমার্স সংস্থাগুলি তাদের সম্পূর্ণ পরিষেবা শুরু করতে পারছিল না। রিপোর্টে জানানো হয়েছিল রিটেইলার, এবং ই-কমার্স সংস্থাগুলি তাদের সমস্ত লাভের ৭৫% অর্জন করে থাকে এই অঞ্চলগুলি থেকেই। লকডাউন ৪.০-তে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রেড জোনে সমস্ত প্রোডাক্ট ডেলিভারির অনুমতি দেওয়ায় ইকমার্স সংস্থাগুলি পুরোদমে কাজ করতে পারবে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারাদেশের ১৩০টি জেলা করোনা ভাইরাস কবলিত রেড জোনের মধ্যে পড়ছে। সরকারের তরফে ২৫ মার্চ লকডাউন ঘোষণা করার পর কেবল মাত্র অতি প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট ছাড়া অন্য সমস্ত প্রোডাক্ট ডেলিভারির অধিকার হারিয়েছিল সংস্থাগুলি। তবে এবার তারা সমস্ত অঞ্চলে মুক্তভাবে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করতে পারবে। আমরা সবাই জানি ই-কমার্স সাইট থেকে ফ্যাশন ও ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট বেশি বিক্রি হয়। কিন্তু সেই প্রোডাক্টের বিক্রি বন্ধ থাকায় প্রবল সমস্যায় পড়তে হয়েছিল সংস্থাগুলিকে।

কয়েকদিন আগেই আমরা আপনাদেরকে প্রথমে জানিয়েছিলাম যে সংস্থাগুলি রেড জোনেও এবার প্রোডাক্ট ডেলিভারি করবে। সংস্থাগুলি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাথে এবিষয়ে কথা বলেছিল। তারা জানিয়েছিল বর্তমানে, রেড জোনের একটি বড় সংখ্যক জনগণ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, বাড়ির ব্যবহারযোগ্য জিনিসপত্র এবং অফিসে ব্যবহার করা ষ্টেশনারী জিনিসপত্র কিনতে পারছেন না। এছাড়াও মোটামুটি ৪২% মানুষ বর্তমানে দোকানে যাওয়ার পরিবর্তে বাড়িতে জিনিস ডেলিভারি নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। ফলে অনলাইন ডেলিভারির অনুমতি দেওয়া হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *