ইলেকট্রিক স্কুটার বিক্রিতে সর্বকালীন রেকর্ড, জুনে তিন লাখের বেশি গাড়ি বেচল TVS

দেশীয় মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারী সংস্থা টিভিএস নিত্যনতুন মডেল এনে তাক লাগিয়ে দিয়েছে গ্রাহকদের। তাদের বাইক ও স্কুটার ভাল গুণমানের সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় ভারতবর্ষের মতো মধ্যবিত্ত প্রধান দেশে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে টিভিএস। সম্প্রতি টিভিএস মোটর কোম্পানির গত মাসের মোটরসাইকেল-স্কুটার ও তিন চাকা গাড়ির  বিক্রির খতিয়ান প্রকাশ করেছে। গত মাসে দেশ ও বিদেশে টিভিএস মোট ৩,০৮,৫০১ ইউনিট বেচেছে। গত বছরের জুন মাসে এই সংখ্যাটি ছিল ২,৫১,৮৬৬। অর্থাৎ বিক্রিবাটা বৃদ্ধি পেয়েছে ২২%।

মোটরসাইকেল বিক্রির খতিয়ান দেখতে গেলে জুনে দু’চাকা শোরুম থেকে ২,৯৩,৭১৫ গ্রাহকের গ্যারাজে উঠেছে। যেখানে ২০২১-এর এই সময়ে বিক্রির অঙ্কটি ছিল ২,৩৮,০৯২। পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট বিক্রি বৃদ্ধির হার ২৩ শতাংশ। এবার দেশীয় বাজারে বিক্রির পরিসংখ্যানে নজর দিলে দেখা যাবে, আগের বছরের জুনের থেকে চলতি বছরের জুন মাসে বাইকে ও স্কুটার বিক্রি বেড়েছে ৩৩%। জুনে ১,৯৩,০৯০ জন গ্রাহকের কাছে পৌঁছে গেছে টিভিএস-এর দুই চাকা গাড়ির চাবি।

তবে এ দেশে জুনে বিক্রিত বাইকের সংখ্যা পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় সামান্য কম। গত বছরের জুনে যেখানে ১,৪৬,৮৭৪টি বাইক বিক্রি করা গেছিল, সেখানে এই বছর জুনে সংখ্যাটি হল ১,৪৬,০৭৫। অবশ্য ২০২১-এর জুনের তুলনায় স্কুটার বিক্রির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মাসে মোট ১,০৫,২১১ ইউনিট স্কুটার বেচেছে টিভিএস। গত বছরের জুনের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।

বর্তমানের গাড়ি যত চাকারই হোক না কেন, তাদের প্রাণভ্রোমরা হল “সেমিকন্ডাক্টর চিপ”। আর এই মুহূর্তে সংকটময় পরিস্থিতিতে এই চিপের অপ্রতুলতা সমগ্র গাড়িশিল্পকে যে যথেষ্ট ভাবে প্রভাবিত করেছে তা এক প্রকার স্বীকার করে নিয়েছে টিভিএস -এর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তবে তারা দাবি করেছে আগামী দিনে এই সাপ্লাই চেইনকে উন্নততর করতে তারা বদ্ধপরিকর।

কোম্পানির সেলস রিপোর্টে দেখা গেছে, গত জুনে তাদের ১,১৪,৪৪৯  ইউনিট বিদেশে পাড়ি দিয়েছে, গত বছরের জুন মাসের তুলনায় তা ৮% বেশি। যদিও এর মধ্যে সিংহভাগই দ্বিচক্রযান। জুন মাসে ১৪,৭৮৬টি তিন চাকার গাড়ি বিক্রি করেছে টিভিএস। প্রসঙ্গত, গত মাসে সংস্থার একমাত্র স্কুটার iQube মডেলে ৪,৬৬৭টি বিক্রি হয়েছে। যা সংস্থার ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এই বছরের মে মাসের তুলনায় জুনে ৭৭% বিক্রি বেড়েছে। সাফল্যের পিছনে আপডেটেড মডেল লঞ্চ করাই প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।