Pulsar RS200, Yamaha R15-র থেকে কতটা এগিয়ে নয়া Hero Karizma XMR? রইল তুলনা

Avatar

Published on:

Hero Karizma XMR vs Yamaha R15 V4 Comparison

Hero Karizma XMR 210 ভারতীয় মোটরসাইকেল প্রেমীদের ২০০ সিসি স্পোর্টস টুরারের নয়া স্বাদ দিতে হাজির হয়েছে। একসময় এর বিক্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবারে নতুন ভার্সনে বাইকটি লঞ্চ করেছে হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp)। এখন বিষয় হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট সেগমেন্টে আরও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ইতিমধ্যেই নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছে। যার মধ্যে রয়েছে – Suzuki Gixxer 250, Yamaha R15 ও Bajaj Pulsar RS200। এই প্রতিবেদনে উক্ত চারটি মোটরসাইকেলের তুলনা তুলে ধরা হল।

New Hero Karizma XMR

নতুন Karizma XMR-এর মূল্য ১.৭৩ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) ধার্য করা হয়েছে। ফিচার হিসেবে রয়েছে ফুলফেয়ারিং সহ এলইডি লাইটিং, একটি সাইড স্লাঙ্গ এগজস্ট, ক্লিপ অন বার, ১৭ ইঞ্চি অ্যালয় হুইল, ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সহ দু’চাকায় ডিস্ক ব্রেক, টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট ফর্ক, রিয়ার মোনোশক এবং নেভিগেশন সহ এলসিডি ড্যাশ।

চাকায় গতি আনতে Karizma XMR-এ দেওয়া হয়েছে একটি ২১০ সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন। এটি থেকে সর্বোচ্চ ২৫ বিএইচপি শক্তি এবং ২০.৪ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। ইঞ্জিনের সাথে রয়েছে ৬-গতির গিয়ার সহ স্লিপ ও অ্যাসিস্ট ক্লাচ। যা কারিশমা-কে ০-৬০ কিমি/ঘন্টার গতিবেগ ৩.৮ সেকেন্ডে তুলতে সহায়তা করবে।

Karizma XMR vs Suzuki Gixxer SF 250

Suzuki Gixxer 250 বহুদিন ধরে ভারতে বিক্রি হয়ে আসছে। এটি সংস্থার ১০০০ সিসি ইঞ্জিনের মোটরসাইকেল থেকে অনুপ্রাণিত। এতে রয়েছে ফুল ফেয়ারিং, টেলিস্কোপিক ফর্ক, রিয়ার মোনোশক, ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সহ দু’চাকায় ডিস্ক ব্রেক, অ্যালয় হুইল, ফোন কানেক্টিভিতি এবং নেভিগেশন সহ এলসিডি ড্যাশ।

Suzuki Gixxer SF 250-তে শক্তির উৎস হিসাবে রয়েছে একটি ২৪৯ সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন। এটি থেকে সর্বোচ্চ ২৬ বিএইচপি শক্তি এবং ২২ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। মোটরের সাথে সংযুক্ত ৬-স্পিড গিয়ারবক্স। কারিশমা-র মতো এতেও রয়েছে ফুল এলইডি লাইটিং।

Karizma XMR vs Yamaha R15 V4

Yamaha YZF-R15 150cc মোটরসাইকেল সাইমেন্টের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতের প্রিমিয়াম মোটরসাইকেলের দুনিয়ায় R15 একটি কিংবদন্তি নাম। এতে রয়েছে এলইডি লাইটিং, ইউএসডি ফ্রন্ট ফর্ক, একটি রিয়ার মোনোশক, দু’চাকায় ডিস্ক ব্রেক, ডুয়েল চ্যানেল এবিএস এবং ফোন কানেক্টিভিটি সহ এলসিডি ড্যাশ।

এগিয়ে চলার শক্তি জোগাতে Yamaha R15 V4-এ উপস্থিত একটি ১৫৫ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন। এটি থেকে সর্বোচ্চ ১৮ বিএইচপি শক্তি এবং ১৪ এনএম টর্ক পাওয়া যায়। মোটরের সাথে তালে তাল মেলাতে রয়েছে স্লিপ ও অ্যাসিস্ট ক্লাচ সহ ৬-গতির গিয়ারবক্স। উপরিউক্ত চারটি মডেলের মধ্যে এতেই একমাত্র কুইক শিফ্টার ও ট্রাকশন কন্ট্রোল উপস্থিত।

Karizma XMR vs Bajaj Pulsar RS200

Bajaj Pulsar RS200-এর অনুরাগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। এতে রয়েছে টেলিস্কোপিক ফর্ক, একটি রিয়ার মোনোশক, ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সহ ডুয়েল ডিস্ক, অ্যালয় হুইল, ক্লিপ অন বার এবং এলইডি লাইটিং।

Bajaj Pulsar RS200-এ শক্তির উৎস হিসাবে রয়েছে একটি ২০০ সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন। যা থেকে সর্বোচ্চ ২৪ বিএইচপি শক্তি এবং ১৮ এনএম টর্ক পাওয়া যায়। এতে দেওয়া হয়েছে ৬-গতির গিয়ার। উপরিউক্ত চারটি মোটরসাইকেলের মধ্যে এটি একমাত্র মডেল, যাতে ফোন কানেক্টিভিটি অথবা নেভিগেশন অনুপস্থিত।

সঙ্গে থাকুন ➥