ভারতের বাজার কাঁপানোর পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমালো Honda Elevate। ভারতে তৈরি করে গাড়িটি সেখানে রপ্তানি করছে হোন্ডা। গত বছর সেপ্টেম্বরে ভারতে লঞ্চ হয়েছিল এটি। বিক্রির দিক থেকে জাপানি সংস্থাটিকে অক্সিজেন জোগাচ্ছে গাড়িটি। তাই এবার বিদেশের বাজারেও SUV মডেলটি লঞ্চের সিদ্ধান্ত সংস্থার। দক্ষিণ আফ্রিকায় গাড়িটির দাম রাখা হয়েছে আর ৩,৬৯,৯০০ (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৫.৯২ লক্ষ টাকা)।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, এত দেশ থাকতে Honda Elevate দক্ষিণ আফ্রিকাতেই লঞ্চের কারণ কী? আসলে ভারতীয়দের সাথে সে দেশের ক্রেতাদের গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে মানসিকতার মিল রয়েছে। উভয় দেশের মানুষের চাহিদা সস্তায় বেশি ফিচার্স ও ভালো মাইলেজ। এ কারণেই মেড-ইন-ইন্ডিয়া এলিভেট দক্ষিণ আফ্রিকার বিক্রি সিদ্ধান্ত হোন্ডার।
Honda Elevate দক্ষিণ আফ্রিকার বাজারে পা রাখল
ভারতীয় Elevate-এর সাথে সেদেশে লঞ্চ হওয়া মডেলটির ডিজাইনে কোনও ফারাক নেই। সামনে দেওয়া হয়েছে একটি চওড়া গ্রিল, যার উপরে ক্রোম বেল্ট। এলইডি ডিআরএল সমেত একটি স্লিক এলইডি হেড ল্যাম্প, বাম্পারের শেষ প্রান্তে ফগ ল্যাম্প, বাম্পারের নিচে স্কিড প্লেট এবং একটি আপরাইট বনেট।
এই গাড়িতে দেওয়া হয়েছে ১৭ ইঞ্চি অ্যালয় হুইল, সাইড বডি স্কার্টিং, উইন্ডো ফ্রেমের নিচে ক্রোম বেল্ট, রুফ রেল এবং ক্রোম ডোর হ্যান্ডেল। পেছনে রয়েছে একটি কানেক্টেড টেল ল্যাম্প ডিজাইন, একটি শার্ক ফিন অ আন্টেনা, রুফ স্পয়লার, একটি স্টার্ডি স্কিড প্লেট এবং স্পোর্টি বাম্পার।
ইন্টেরিয়র ও ফিচার্স
Honda Elevate-এর ভেতরে ডুয়েল টোন ড্যাশবোর্ড লেআউট, ৮ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেনমেন্ট ডিসপ্লে (ভারতীয় ভার্সনে উপস্থিত ১০.২৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে), লেদারেট সিট, স্টিয়ারিং হুইল ও গিয়ার লিভার, ৬-স্পিকার অডিও সিস্টেম, অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল, ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ওয়্যারলেস চার্জিং ইত্যাদি। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়ে ভারতীয় মডেলে অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স সিস্টেম বা অ্যাডাস (ADAS) প্রযুক্তি উপলব্ধ থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকান মডেলে তা অনুপস্থিত।
স্পেসিফিকেশন
City সেডানের পাওয়ারট্রেনে ছোটে Honda Elevate। ১.৫ লিটারের সেই পেট্রোল ইঞ্জিন। এটি থেকে সর্বোচ্চ ১২১ পিএস শক্তি এবং ১৪৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। ইঞ্জিনের সাথে সংযুক্ত ৬-স্পিড ম্যানুয়াল এবং সিভিটি অটোমেটিক ট্রান্সমিশন। ভারতে এই গাড়ি কিনতে খরচ পড়ে ১১.৫৮ লক্ষ থেকে ১৬.২০ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)।