Sim Card Fraud: জালিয়াতি থেকে বাঁচতে সিম কার্ড কেনার সময় এই বিষয়গুলি মাথায় গেঁথে রাখুন

বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি (TRAI) এবং টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ (DoT) সিম কার্ড জালিয়াতির ঘটনা রোধ করার জন্য অবিরত কাজ করছে। এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বরে অর্থাৎ ২০২১ সালের শেষে DoT (ডিওটি) ৯টির বেশি সিম কার্ড ব্লক করার নির্দেশ জারি করেছিল। কেন্দ্রের তরফে গৃহীত হয়েছিল আরো কিছু পদক্ষেপও। তবে এর পরও সিম কার্ডকে ঘিরে জালিয়াতির ঘটনা যেন থামার নামই হচ্ছে না। তাই শুধু টেলিকম বিভাগ নয়, প্রতারকদের ফাঁদ থেকে বাঁচতে আমাদের মত সাধারণ মানুষ অর্থাৎ গ্রাহকদেরও চোখ কান খোলা রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে আসুন দেখে নিই কোন কোন বিষয়ের যত্ন নিলে সিম কার্ড জালিয়াতির ঘটনা রোধ করা যেতে পারে।

সিম কার্ড জালিয়াতি রুখতে প্রাথমিক করণীয়

১. প্রি অ্যাক্টিভেটেড সিম কার্ড

গ্রাহকদের সবসময় প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম কার্ড কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। আসলে প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম অন্য কারো নামে ইস্যু থাকার বিষয়টি যথেষ্ঠ যুক্তিসঙ্গত। তাছাড়া আগামী দিনে আপনার নথি ভরা সিম কার্ডটি অন্যকে দেওয়া হতে পারে। এমতাবস্থায় কোনো ধরনের প্রতারণা হলে গ্রাহকরা বিপাকে পড়তে পারেন।

২. শুধুমাত্র অফিসিয়াল স্টোর থেকে সিম কিনুন

সর্বদা একটি অথেন্টিক জায়গা থেকে সিম কার্ড কিনুন। কারণ যেকোনো খোলামেলা স্থান থেকে সিম কার্ড কেনার ফলে আপনার নথির অপব্যবহার হতে পারে। প্রায়ই দেখা যায় যে সিম বিক্রেতারা আপনার ডকুমেন্টে অন্যদের সিম কার্ড ইস্যু করে। সেক্ষেত্রে যে কোন অপরাধমূলক ঘটনার ক্ষেত্রে আপনি দোষী সাব্যস্ত হবেন। তাই শুধুমাত্র Airtel, Jio, BSNL এবং Vodafone-Idea স্টোর থেকে সিম কেনা ভালো হবে।

৩. সিম কার্ডের বিবরণ পরীক্ষা করুন

আপনার নামে কোনো জাল সিম জারি করা হয়েছে কিনা তা সব সময় চেক করা উচিত। আপনার আধারে অগোচরে কোনো সিম কার্ড নিবন্ধিত কিনা তা খুঁজে বের করার জন্য, ডিওটি, প্রতারণা ব্যবস্থাপনা এবং ভোক্তা সুরক্ষা বা TAFCOP-এর জন্য টেলিকম অ্যানালিটিক্স নামে একটি পোর্টাল চালু করেছে। এই পোর্টাল থেকে আপনি জানতে পারবেন আপনার নামে ঠিক কতগুলো সিম চলছে।

কীভাবে প্রতারণার সিম সনাক্ত এবং ব্লক করবেন

১. এর জন্য প্রথমে আপনাকে https://www.tafcop.dgtelecom.gov.in/ ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং সেখানে আপনাকে আপনার মোবাইল নম্বর দিতে হবে।

২. এরপরে আপনি একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (OTP) পাবেন।

৩. ওটিপি জমা দেওয়ার পরে, একটি তালিকা প্রদর্শিত হবে, যেখান থেকে আপনি জানতে পারবেন আপনার আধারে কতগুলি নম্বর রেজিস্টার আছে।

৪. এর পরে আপনি যে নম্বরটি ব্যবহার করছেন না তা ব্লক করতে পারেন। এক্ষেত্রে ভোক্তাকে একটি ট্র্যাকিং আইডি দেওয়া হবে, যাতে আধারের সাথে যুক্ত অবৈধ নম্বর প্রদানকারীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানা যাবে।