WhatsApp-এর জন্য নতুন নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট, প্রিপেইড ইউজাররা অবশ্যই সাবধান হন

প্রিপেইড কানেকশন ব্যবহারকারীদের জন্য এবার WhatsApp ব্যবহারের প্রসঙ্গে বিশেষ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

গোটা বিশ্বের মতো ভারতেও হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন রকমের যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য WhatsApp ব্যবহার করেন। তাই অধিকাংশের মোবাইল ফোনে অন্য কোনো অ্যাপ থাক বা না থাক, এই সবুজ লোগোওয়ালা ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনটি দেখা যাবেই! এদিকে, ইউজারদের এই নির্ভরশীলতার কথা মাথায় রেখে WhatsApp কোম্পানি সার্ভিস এবং পলিসি আপগ্রেড আনে। এমনকি এদেশের সরকারও এই প্ল্যাটফর্মটির গতিবিধির বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ। তবে আজ ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট, WhatsApp ব্যবহারকারীদের জন্য এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা জারি করেছে, যা মাথায় না রাখলে অস্বস্তিতে পড়তে হবে – বিশেষ করে যাদের প্রিপেইড মোবাইল নম্বর রয়েছে তাদের জন্য দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সাম্প্রতিক রায়টি জেনে রাখা আশু কর্তব্য। আসলে যারা হালফিলে তাদের ফোন নম্বর পরিবর্তন করার পরিকল্পনা করছেন বা যারা ঘনঘন নিজের মোবাইল নম্বর বদলে থাকেন, তাদের জন্যই নতুন আদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট (SC)। আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য এটাই যে, Reliance Jio, Bharti Airtel এবং Vodafone Idea-র মতো মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডাররা একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে নতুন গ্রাহকদের পুরোনো বা নিষ্ক্রিয় নম্বরগুলি পুনরায় ব্যবহার করার বিকল্প দেয়। আর এই বিষয়টিই WhatsApp ইউজারদের উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

WhatsApp নিয়ে ঠিক কী বলছে সুপ্রিম কোর্ট?

হোয়াটসঅ্যাপ প্ল্যাটফর্মটি ইউজারের মোবাইল নম্বরের সাথে লিঙ্ক থাকে এবং সেই ভিত্তিতেই কাজ করে। তাই গোপনীয়তা লঙ্ঘন প্রতিরোধে বা ডেটা ফাঁসের মতো ঘটনা আটকাতে, ইউজারদের নিজস্ব ফোন নম্বর পরিবর্তন করার আগে অ্যাকাউন্ট ডেটা বা সম্পূর্ণ প্রোফাইল মুছে ফেলার উপর জোর দিচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট। কারণ একজনের ব্যবহার করা নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ, পরবর্তী সময়ে অন্য কেউ খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারেন বা তার তথ্য জানতে পারেন। এক্ষেত্রে আদালত নতুন রায়টি অ্যাডভোকেট রাজেশ্বরীর দায়ের করা একটি পিটিশনের প্রেক্ষিতে জারি করেছে। উল্লেখ্য, রাজেশ্বরী, টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (TRAI)-এর পক্ষ থেকে টেলিকম কোম্পানিগুলিকে নতুন গ্রাহকদের জন্য কোনো নিষ্ক্রিয় বা পুরোনো মোবাইল নম্বর বরাদ্দ করা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন।

সেক্ষেত্রে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং এসভিএন ভাট্টির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে যে, সাবস্ক্রাইবার পূর্ববর্তী ফোন নম্বরের সাথে সংযুক্ত হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলে এবং লোকাল ডিভাইস মেমরি/ক্লাউড/ড্রাইভে সংরক্ষিত হোয়াটসঅ্যাপ ডেটা মুছে ফেলেই নিজের ডেটার অপব্যবহার রোধ করতে পারে৷ এটি গোপনীয়তা বজায় রাখার যথাযথ উপায়। এছাড়াও, আদালত, মোবাইল নম্বর রিভোকেশন লিস্ট (MNRL)-এর মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন মোবাইল নম্বরগুলির একটি ডিজিটাল রেকর্ড রাখার নির্দেশ দিয়েছে, এতে করে পরিষেবায় স্বচ্ছতা থাকবে এবং অযাচিত সমস্যা এড়ানো যাবে।

৯০ দিন অবধি রিঅ্যাক্টিভেট হবেনা পুরোনো নম্বর

এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, আপনি আজ কোনো ফোন নম্বর বা সিম ব্যবহার করা বন্ধ করে দিলেন, আর আগামীকাল থেকেই সেটির অ্যাক্সেস অন্য কারোর হাতে যাবে এমন নয়। ২০১৭ সালে টেলিকম বিভাগ (DoT) একটি নিয়ম চালু করেছিল, যেখানে না ব্যবহার হওয়া বা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে নিষ্ক্রিয় মোবাইল নম্বরটি কমপক্ষে ৯০ দিনের ডিঅ্যাক্টিভেটই থাকবে। এই সময় অতিবাহিত হলে তবে সেটিকে নতুন গ্রাহকের জন্য পুনরায় বরাদ্দ করতে পারবে টেলিকম কোম্পানি। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টও এই নিয়মটিকে সামঞ্জস্যপূর্ণ হিসেবে বহাল রেখেছে।