Jio, Airtel ও Vi এর ই-সিম কার্ড কিভাবে নেবেন, এর সুবিধা অসুবিধা জেনে নিন

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলের প্রযুক্তি আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়ে উঠছে। সিম কার্ডের ব্যাপারটাই দেখুন- এক সময় আমাদের কল করার জন্য বড় সিম কার্ড নিতে হতো। তারপর সেই সিম ছোট হতে হতে মাইক্রো সিম, তারপর এখন ন্যানো সিমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোট হতে হতে এবার সিমকার্ড কার্যত অদৃশ্যই হতে চলেছে। নতুন প্রযুক্তির ফলে এখন আর বাহ্যিক সিম কার্ড নেওয়ারও দরকার নেই, কারণ এখন বাজারে চলে এসেছে e-Sim (Embedded Subscriber Identity Module) ব্যবস্থা। স্মার্টফোনে সরাসরি ডাউনলোড করা যাবে এই সিম। এর জন্য ফোনের মধ্যে সিম কার্ড ভরার দরকার হবে না। Jio, Vi, Airtel এরা সবাই তাদের ইউজারদের ই-সিম পরিষেবা দিচ্ছে।

কিভাবে e-Sim পাবেন?

Vi-এর ক্ষেত্রে শুধু পোস্টপেড ইউজাররাই তাদের সিম কার্ডকে ই-সিমে রূপান্তরিত করতে পারবেন। বর্তমানে মুম্বাই, গুজরাট, দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং গোয়ার ইউজাররা এই সুবিধা পাচ্ছেন। তবে শুধু এই অঞ্চলের বাসিন্দা হলেই হবে না, আপনার স্মার্টফোনেও ই-সিম টেকনোলজি সাপোর্ট করতে হবে। নতুন সিম নেওয়ার জন্য Vi স্টোরে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে পরিচয়পত্র এবং সঠিক ডিভাইস দেখিয়ে একটি KYC পূরণ করতে হবে। KYC পূরণ হয়ে গেলেই ইউজার Vi-এর ই-সিম পেয়ে যাবেন।

Jio-র ক্ষেত্রে ই-সিম নিতে হলে নিকটবর্তী Jio স্টোরে যেতে হবে। সেখানে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন ছবি ও পরিচয়ের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। সমস্ত প্রয়োজনীয় ধাপগুলি হয়ে গেলে জিওর নতুন ই-সিম পেয়ে যাবেন।

Airtel ইউজারদের ই-সিমের জন্য ১২১ নম্বরে ‘eSIM (স্পেস) রেজিস্টার্ড ইমেল আইডি’ SMS করতে হবে। এরপর আপনি ১২১ থেকে একটি কনফার্মেশন SMS পাবেন। কনফার্ম করার জন্য ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে ১ প্রেস করতে হবে। এরপর Airtel-এ ভয়েস কলের মাধ্যমে একটি কনফার্মেশন দিতে হবে। আপনি কলের মাধ্যমে আপনার সম্মতি জানালে আপনার ইমেল আইডিতে একটি QR কোড আসবে। QR কোড স্ক্যান করে নিতে হবে। এরপর দু ঘন্টার মধ্যেই আপনার ই-সিম সক্রিয় হয়ে যাবে।

ই-সিমের সুবিধা ও অসুবিধা

ই-সিমে নেওয়ার আগে এর সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে কিছু বিষয় জানিয়ে রাখি। যারা আন্তর্জাতিক স্তরে ভ্রমণ করেন তাদের জন্য ই-সিম বেশ সুবিধাজনক। বিদেশের কোন জায়গায় ভ্রমণ করলে খুব কম সময়ের মধ্যেই আপনি ই-সিম কিনে নিতে পারেন। কিন্তু পুরনো সিমকার্ড থাকলে আপনাকে সেই স্টোরে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে সিম কার্ড নিতে হবে এবং সেটি সক্রিয় হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ই-সিমের আরেকটি সুবিধা হলো এর জন্য আপনার ডিভাইসে কোন আলাদা জায়গা দরকার পড়বে না। এর ফলে আপনার সিম কার্ড হারানোর ভয়ও থাকবে না।

ই-সিমের সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও আছে অবশ্য। e-Sim এর খরচ সাধারণ সিমকার্ডের চেয়ে বেশি। তাছাড়া খুব কম ডিভাইসেই এটি সাপোর্ট করে। এছাড়া অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে কিছু বাগ বা যান্ত্রিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। কিন্তু একবার যখন এই প্রযুক্তি চালু হয়েছে তখন বলা যায়, ভবিষ্যতে হয়তো ই-সিম প্রযুক্তি সর্বব্যাপি হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত সীমিত আকারেই এই সুবিধা উপলব্ধ।