করোনা সংক্রামিত ব্যক্তিদের উপর নজর রাখতে ফোনের কল ডেটা ব্যবহার করবে রাজ্য সরকারগুলি

Avatar

Published on:

করোনা সংক্রামিত ব্যক্তিদের অবস্থান ট্র্যাক করার জন্য এবার থেকে ব্যবহার হতে চলেছে কল ডেটা। টেলিকমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্ট এবং মোবাইল ফোন অপারেটররা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজ্য সরকারের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করছে, যাতে গ্রাহকদের মোবাইল ফোনের কল ডেটা ব্যবহার করে সংক্রামিত ব্যক্তিদের চালচলনের উপর নজর রাখা যায়। সাথেই এটিকে লক্ষাধিক প্রবাসী শ্রমিকদের কাছে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেওয়া এবং কাজ খুঁজে দেওয়ার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হবে।

আধিকারিকরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন এই কাজের জন্য গ্রাহকের শুধুমাত্র কল লোকেশন ডিটেইলস ব্যবহার করা হবে, কোনরকম কল ডেটা রেকর্ড ব্যবহার করা হবে না। তবে প্রাইভেসি এক্সপার্টরা জানিয়েছেন, কল লোকেশন ট্র্যাক করলেও প্রাইভেসির সমস্যা রয়েছে কারণ এতে সেই ব্যবহারকারীর কোনরকম অনুমতি নেওয়া হয়নি।

বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থার করোনাভাইরাস রিসার্চের সঙ্গে জড়িত একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, যদি কোন রোগী নিজের কোয়ারেন্টাইন লোকেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন তাহলে তৎক্ষণাৎ পুলিশসহ বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থার কাছে অ্যালার্ট পৌঁছাবে। টেলিকমিউনিকেশন দপ্তর সেই ব্যক্তির সেল সাইট এবং সেই জায়গাগুলিকেও ট্র্যাক করবে যেখানে যেখানে ঐ ব্যক্তি বিগত ১৫ দিনে ভ্রমণ করেছেন।

এর ফলে এই ব্যাপারে জানা যাবে যে কাদের সংস্পর্শে ওই ব্যক্তি ওই সময় এসেছিলেন। টেলিকম দপ্তরের তরফ থেকে কল ডেটা ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই লক্ষাধিক প্রবাসীদের উপর নজর রাখা হচ্ছে। আধিকারিকদের কথা অনুযায়ী, মুম্বাই, দিল্লি, আহমেদাবাদ, সুরাট, পুনে সহ ভারতের আরো কিছু শহরে এই পদ্ধতিতে প্রবাসীদের উপর নজর রাখা শুরু হয়েছে এবং রাজ্য সরকারের সাহায্যে সতর্কবাণী এবং খাবার সাপ্লাই করা হচ্ছে।

তবে এই প্রক্রিয়াটি টেলিকম কোম্পানীগুলির জন্য একটু সমস্যাজনক হতে চলেছে। কারণ তাদের খুবই শর্ট নোটিশে মানুষের সেল টাওয়ারের ডেটার মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপলব্ধ করতে হচ্ছে। তিনটি প্রাইভেট কোম্পানি এই কাজে আপাতত ব্যস্ত। এই তিনটি প্রাইভেট কোম্পানি ভারতের তিনটি সবথেকে বড় টেলিকম অপারেটর অর্থাৎ রিলায়েন্স জিও, ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়া একসঙ্গে কাজ করছে।

সঙ্গে থাকুন ➥