১০ বছরের পুরনো এমন ১ লক্ষের বেশি ডিজেল গাড়ির নথিভুক্তি (রেজিস্ট্রেশন) বাতিল করল দিল্লি সরকার। দূষণে রাশ টানতে গাড়ি মালিকদের ইলেকট্রিক কিট ব্যবহার করে ডিজেল গাড়ি বৈদ্যুতিক গাড়িতে রূপান্তর অথবা ছাড়পত্র (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট বা এনওসি) পাওয়ার পর অন্য রাজ্যে বিক্রি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি প্রশাসন। দিল্লির পরিবহন দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ১৫ বছরের পুরনো পেট্রোলচালিত গাড়ির ক্ষেত্রেও আগামী দিনে একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, দিল্লিতে এই ধরনের পেট্রোল গাড়ির সংখ্যা আনুমানিক ৪৩ লক্ষ। তার মধ্যে দু’চাকার গাড়ি সংখ্যা ৩২ লক্ষের আশেপাশে এবং চার চাকা গাড়ি প্রায় ১১ লক্ষ। দিল্লির পরিবহন দপ্তর হুশিয়ারি দিয়েছে, যদি নথিভুক্তি বাতিল হওয়া কোনও পেট্রোল বা ডিজেল গাড়ি রাস্তায় চলতে দেখা গেলে, তা বাজেয়াপ্ত করে স্ক্র্যাপিংয়ের জন্য পাঠানো হবে।
তিনি যোগ করেন, জাতীয় পরিবেশ আদালত (এনজিটি)-র নির্দেশ অনুযায়ী, দিল্লি সরকার ১.০১.২৪৭ ডিজেল গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে, যা ১ জানুয়ারি ২০২২-এ ১০ বছর পূর্ণ করেছে। সেই সব গাড়ির মালিকেরা রাজধানী ও তার সংলগ্ন অঞ্চলের (এনসিআই) বাইরেও চালানোর ছাড়পত্র পেতে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। নথিভুক্তি রদ হওয়া ডিজেল গাড়ির সংখ্যা প্রায় ৮৭,০০০। এবং বাকি গাড়িগুলির মধ্যে রয়েছে পণ্য সরবরাহকারী, বাস, এবং ট্রাক্টর।
দিল্লির পরিবহন বিভাগ আটটি বৈদ্যুতিক কিট প্রস্তুতকারী সংস্থার একটি তালিকা তৈরি করেছে, যারা পুরনো পেট্রোল ও ডিজেল গাড়িকে বৈদ্যুতিকে পরিবর্তিত করবে। একই সাথে বৈদ্যুতিক কিট তৈরি করে এমন আরও কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে কথা চলছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, পুরনো পেট্রোল ও ডিজেল গাড়ি ব্যাটারিতে চালাতে গেলে মডিফাইয়ের জন্য ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ পর্যন্ত খরচ হতে পারে। ব্যাটারির ক্যাপাসিটি, রেঞ্জের মতো বিষয়খুলি খরচের পরিমাণ নির্ধারণ করবে। সেই তুলনায় অবশ্য দু’চাকা ও তিন চাকা গাড়িতে ইলেকট্রিক কিট ফিট করার খরচ কম।