Electric Cycle: দুর্দান্ত পদক্ষেপ! দেশে এই প্রথম ই-সাইকেল কেনায় উৎসাহ দিতে 7500 টাকা সাহায্যের ঘোষণা দিল্লির

Avatar

Published on:

পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমাতে দিল্লি সরকারের যেন রাতের ঘুম উড়েছে। এমনিতেই ভারতের মধ্যে রাজধানী দিল্লিতে দূষণের পরিমাণ যে বিপদসীমার উর্ধ্বে, একথা জানতে বাকি নেই। তবে বর্তমানে দিল্লির ‘পরম শত্রু’ দূষণের সাথে জুঝে উঠতে অতি সক্রিয় কেজরিওয়াল সরকার। ইতিমধ্যেই ডিজেল গাড়ির ১০ বছর এবং পেট্রল গাড়ির ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেই সেগুলি হয় বাতিল, নাহলে ইলেকট্রিক কিট বসানোর বিধান দেওয়া হয়েছে। আবার রাজধানীতে ব্যাটারি চালিত যানবাহনের ব্যবহার বাড়াতে যারপরনাই পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এবার আরও আকর্ষণীয় ঘোষণা এলো মসনদে থাকা সরকারের তরফে। দিল্লির বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতিতে অর্ন্তভুক্ত করা হল ব্যাটারিচালিত সাইকেলকে।

ইলেকট্রিক সাইকেলের উপরে ৫,৫০০ টাকার ভর্তুকির ঘোষণা করলেন দিল্লির পরিবহন মন্ত্রী কৈলাস গহলট (Kailash Gahlot)। তবে প্রথম দশ হাজার ক্রেতাই পাবেন এই আর্থিক সুবিধা। ব্যক্তিগত ব্যবহার অথবা পণ্য সরবরাহ, উভয় প্রকার বৈদ্যুতিক সাইকেলেই পাওয়া যাবে ভর্তুকি। উল্লেখ্য দেশের মধ্যে দিল্লি সরকারই প্রথম বৈদ্যুতিক সাইকেলে ভর্তুকির ঘোষণার দৃষ্টান্ত তৈরি করল।

তবে ইলেকট্রিক সাইকেল কেনার ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে আরও একটি চমকের কথা জানিয়েছে দিল্লি প্রশাসন। ১০,০০০-এর মধ্যে প্রথম দু’হাজার ই-সাইকেল ব্যবহারকারীদের দেওয়া হবে অতিরিক্ত ২,০০০ টাকার ভর্তুকি। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ইনসেন্টিভের পরিমাণ ৭,৫০০ টাকা। আবার পণ্য বহনের জন্য বৈদ্যুতিক সাইকেল এবং তিন চাকার বৈদ্যুতিক বাণিজ্যিক গাড়ির (ই-কার্ট) ক্ষেত্র মিলবে আর্থিক সহায়তা। প্রথম ৫,০০০ কার্গো ই-সাইকেলের গ্রাহক পেয়ে যাবেন ১৫,০০০ টাকার ছাড়‌।

দিল্লির পরিবহণ মন্ত্রী জানিয়েছেন, আগে কেবলমাত্র ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ই-কার্টের ক্রেতাদের ভর্তুকি দেওয়া হত, কিন্তু এখন কোনও সংস্থা কিনতে চাইলেও দেওয়া হবে ৩০,০০০ টাকার সাবসিডি। তবে যে কথাটি বিশেষভাবে মাথায় রাখতে হবে তা হল, কেবলমাত্র দিল্লিবাসীরাই ইভি পলিসির আওতায় এই আর্থিক ভর্তুকির সুবিধা পাবেন। এই প্রসঙ্গে ইলেকট্রিক সাইকেল নির্মাতা হিরো লেক্ট্রো (Hero Lectro)-র সিইও আদিত্য মুঞ্জল বলেছেন, “আমরা সর্বান্তকরণে দিল্লি সরকারের ইভি পলিসি অনুযায়ী এই ভর্তুকিকে স্বাগত জানাই। আমরা লক্ষ্য করছি ইদানিং গ্রাহকরা ব্যক্তিগত এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য ইলেকট্রিক সাইকেল কিনছেন।”

দিল্লি ইভি পলিসির আওতায় ইলেকট্রিক সাইকেলকে নিয়ে আসার ফলে অনলাইন ডেলিভারি সংস্থাগুলি বিশেষভাবে উপকৃত হবে। এর ফলে বৈদ্যুতিক সাইকেলের চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে। ইলেকট্রিক সাইকেল সাধারণত এক চার্জে ৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ দেয়, এব সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২৫ কিলোমিটারের আশেপাশে থাকে। গহলট জানিয়েছেন, বর্তমানে দিল্লির রাস্তায় ৪৫,৯০০টি বৈদ্যুতিক যানবাহন সক্রিয়ভাবে চলাচল করে‌। যার মধ্যে আবার ৩৬% হল টু-হুইলার। দিল্লিই ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে বিক্রি হওয়া গাড়ির ১০ শতাংশের বেশি বৈদ্যুতিক‌। যে কারণে প্রশাসনিক মহলে দাবি করা হয়েছে, ভারতের ‘বৈদ্যুতিক গাড়ির রাজধানী’ বা ‘EV Capital of India’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে দিল্লি।

সঙ্গে থাকুন ➥